গত ২ এপ্রিল খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় বালু পয়েন্টে চাঁদাবাজি করতে এসে গণপিটুনিতে ইউপিডিএফ কর্মী হ্লাচিংমং মারমা নিহতের ঘটনায় উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভার আয়োজন থানা পুলিশ।
উপজেলার হেডম্যান-কার্বারী, জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক,পিপিএম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক বলেন, অপরাধীর অপকর্ম ও অপরাধকে আইনগত মোকাবেলা করার সুযোগ দিলে জনপদ অশান্তি হবে না। অন্যায়কারীর অপকর্ম প্রতিরোধে সবাই জেগে উঠতে হবে। পাহাড়ি, বাঙালি বিভেদ সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে সবাই আরও সজাগ হতে হবে।
উপ-পরিদর্শক মো. ইয়াছিনের সঞ্চালনায় ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনছারুল করিম’র স্বাগত বক্তব্যে সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও মানিকছড়ি সার্কেল মো. কামরুজ্জামান, ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাহাবুবুল বারী, জেলা পরিষদ সদস্য মো. মাঈন উদ্দীন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক, মো.আবদুর রহিম, ক্যয়জরী মহাজন, মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান প্রমূখ।
সভায় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, শান্তিপ্রিয় জনপদে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলে সবসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে নানা অপতৎপরতায় মেতে উঠে। গত ২ এপ্রিল বিকেলে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহতের ঘটনায় পুলিশ কাজ শুরু করলেও একটি সশস্ত্র সংগঠন জনপদে জ্বালাও -পোড়াও, ভাংচুর করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়।
এতে জনপদের শান্তপ্রিয় মানুষজন ভীতিকর পরিবেশে রয়েছে। যে কোন অপরাধকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আইনের প্রতি সকলে শ্রদ্ধাশীল হলে যে কোন পরিস্থিতি আইনগত মোকাবেলা করা সম্ভব।
পরে পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক বলেন, অপরাধীদের অপরাধকে আইনগত মোকাবেলা করার সুযোগ দিলে জনপদ অশান্তি হবে না।
অন্যায়কারীর অপকর্ম প্রতিরোধে সবাই জেগে উঠতে হবে। পাহাড়ি, বাঙালি বিভেদ সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে সবাই আরও সজাগ হতে হবে।
এম/এস