খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলার নোনাবিলে হানাদার বাহিনীর সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল খালেক আর নেই।(ইন্নালিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাহী রাজিউন)।
বুধবার রাত সাড়ে ৩টায় নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত রোগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। মৃত্যকালে বয়স ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ২পুত্র ও ৪ কন্যাসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। বুধবার বাদ জোহর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনচারুল করিম উপস্থিত থেকে প্রয়াতের মরদেহে লাল-সবুজের পতাকা জড়িয়ে এবং পুলিশের সুসজ্জিত ব্যান্ডদল নিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সালাম ও ফুলেল শ্রদ্ধায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনারে শেষ বিদায় জানিয়ে নামাজে জানাজা শেষে তাকে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিচারণে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী হোসেন বলেন, উপজেলার নোনাবিল এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার রণবিক্রম ত্রিপুরার নেতৃত্বে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন মো. আবদুল খালেক। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন সহযোদ্ধা ও রণাঙ্গনের সৈনিক হারালাম।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল খালেকের নামাজে জানাজায়, উপজেলা চেয়ারম্যান মো.জয়নাল আবেদিন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শফিউল আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মতিনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
এম/এস