রামগড় চা-বাগানের ভিতরর মাটি কেঁটে অবৈধ ভাবে কৃত্রিম হ্রদ তৈরির অভিযোগে শিল্পপতি নাঁদের খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে,তিনি পেড্রোলো গ্রুপ এবং ফটিকছড়ির ‘রামগড় চা-বাগান’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
মঙ্গলবার (১৪ই মার্চ) রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবু বক্কর বাদী হয়ে স্থানীয় ভুজপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ৫০ একরের জমি খনন করে এই কৃত্রিম হ্রদে মৎস্য প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। শ্রমিকদের ভোগদখলীয় জমি থেকে তাদের জোর পূর্বক উচ্ছেদ করে সেখানে এই মৎস্য প্রকল্প এবং নানা প্রজাতির নারকেল গাছ এবং সুপারি গাছের বাগান করা হয়েছে। যা চা বাগানের সম্পূর্ণ নীতিমালা বহির্ভুত।এ নিয়ে গত সোমবার দৈনিক আজকের পত্রিকায় “রামগড় চা -বাগানে মাছ চাষ”শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ সহ আরো কয়েকটি জাতীয় গণমাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনের নজরে আসে।খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) এটি এম কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্তে আসে একটি দল।
অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর বেআইনি ও অবৈধভাবে মাটি খননের মাধ্যমে সরকারি জমির ক্ষতিসাধন করার অপরাধে একই আইনের ১৫ ধারায় বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঁদের খানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিবেদক এবং স্থানীয় এক সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে রামগড় চা বাগানের ১নং গেইটে সাইনবোর্ড লাগানো হয়।পরবর্তীতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান,বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীনের নির্দেশে এই সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।এবং তাদের মৌখিক ভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মৎস্য প্রকল্পে সাংবাদিকরা যেন প্রবেশ করতে না পারে।
এ নিয়ে জানতে রামগড় চা-বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদক কে সংবাদ প্রকাশের জেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
মামলার তথ্য নিশ্চিত করে ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, রামগড় চা বাগানের ভেতর মাটি কেটে ও সরকারি জমির মাটি খনন করার অভিযোগে নাঁদের খানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এম/এস