খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামগড় বাজারে দিন দিন চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বেশ কয়েকটি আলোচিত চুরি ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িতরা ধরা না পরার কারনে একের পর এক চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় বড়জোর তদন্ত ও মতবিনিময় করেই দায়িত্ব শেষ করছে পুলিশ ও প্রশাসন।
সর্বশেষ রবিবার দিবাগত রাতে রামগড় মধ্য বাজারে কালার্স ফ্যাশন শাড়ি ঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা তালা ভেঙে প্রায় ১লক্ষ ২০হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। দোকান মালিক ইব্রাহিম জানান, সকালে এসে দোকানের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখে দোকানের সার্টার খুলে দেখি জিনিসপত্র তছনছ অবস্থায় পড়ে আছে। চোরেরা দোকান থেকে দামী কাপড়, ১টি আই ফোন, নগদ ২৩হাজার টাকা ও সিসি ক্যামেরা নিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ২১ ফেব্রুয়ারী বিজয় ভাস্কর্য এলাকা থেকে ১টি মোটরসাইকেল চুরি হয়। গত ৬ জুন দিবাগত রাতে রামগড় বাস্ট্যান্ডে পুলিশ বক্সের ৫০গজ দুরে কুইন টেলিকমে চুরির ঘটনা ঘটে। মালিক লিটন জানান, তার দোকানে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এছাড়াও দামি দামি বেশ কিছু ডিবাইস নিয়ে গেছে চোরচক্র। সব মিলিয়ে বিশটির অধিক দামি ব্যান্ডের মোবাইল নিয়ে যায়। সকালে দোকানের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখে পুলিশকে অভিহিত করা হয়। রামগড় থানার সাবেক ওসি তদন্ত রাজীব চন্দ্র কর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যাওয়ার পর আজ অবধি পুলিশ চোরাইকৃত মালামাল ও চোরদের আটক করতে পারেনি।
এর কিছুদিন পর সফি কোম্পানি মার্কেটের সুইটি জুয়েলার্সের দোকানে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা দিনেদুপুরে তালা ভেঙে ১০-১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসি ক্যামেরা থেকে মেমোরি কার্ড নিয়ে গেলেও আজও ডাকাতদল ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
রামগড় বাজার পরিচালনা কমিটির তত্বাবধানে রাত্রীকালীন পাহারার ব্যবস্থা থাকার পরও এভাবে একের পর এক চুরির ঘটনায় সন্দেহ তৈরি এবং প্রশাসনের নির্বিকারে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এম/এস