• সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শেষ হলো বান্দরবান-র  জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মহালছড়িতে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক উপহার প্রদান উপজেলা বিএনপির লামায় নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় নানা আয়োজনে রাজস্থলীতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মতবিনিময় অনুষ্ঠিত খেলাধুলা একটি জাতির উন্নতির অন্যতম মাধ্যম- বলেন -লে. কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান আওয়ামী সরকারের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মশাল মিছিল রাইখালী ত্রিপুরা সুন্দরী কালী মন্দিরের উন্নয়নের জন্য ৮০ হাজার টাকা অনুদান  দিলেন  সবুজ মারমা দীঘিনালা জোনের উদ্যোগে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বান্দরবানে বিএনপির বিক্ষোভ রুমায় গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালকসহ নিহত,২ আহত- ৪ বান্দরবানে ৭ শ্রমিককে অপহরণ করল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা

দুর্গম পাহাড়ে আছে কয়লার খনি!

আল আমিন রনি: / ২২৯ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি জনপদে মাটি খুঁড়ে কালো সোনা খ্যাত কয়লার সন্ধান পেয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলা হতে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে উত্তর রাজাপাড়ায় কয়লার খনির সন্ধান পাওয়া যায়। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন কোদাল দিয়ে পাহাড়ের মাটি খুঁড়ে কয়লা বের করে নিয়ে আসছেন। এই কয়লা শুকিয়ে তারা বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন। স্থানীয়রা বলেন, কয়লার খনি আবিষ্কৃত হলে তাদের ভাগ্য বদলে যাবে।

জানা গেছে, দু থেকে তিন বছর আগে উক্ত পাহাড়ের মাটি খনন করতে গিয়ে এ কয়লার সন্ধান পান স্থানীয়রা। বিষয়টি এত দিন গোপন থাকলেও সম্প্রতি তা জানাজানি হয়। এরই মধ্যে এসব কয়লা সংগ্রহ করে এলাকাবাসী রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারও করছে। কালো সোনা খ্যাত কয়লার সম্ভাব্য খনি দেখতে প্রতিদিন শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করছে। তবে বিষয়টি এখনো প্রশাসন আমলে নেয়নি বলে জানান তারা।

স্থানীয় এক কৃষক মো. রতন বলেন, প্রায় দুই-তিন বছর আগে আদা-হলুদ রোপণের জন্য মাটি খনন করতে গিয়ে কয়লা দেখতে পাই। পরে কৌতূহলী হয়ে এসব কয়লা সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলার আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গনি বলেন, বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশে বিদ্যমান কয়লার ঘাটতি পূরণ হবে। বিদ্যুতের যে জ্বালানি সংকট রয়েছে তা-ও দূরীভূত হবে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান দৈনিক পার্বত্য কন্ঠ কে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। মাটিরাঙা উপজেলার উত্তর রাজাপাড়া এলাকায় কয়লা পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয়রা জ্বালানি হিসেবে কয়লাগুলো ব্যবহারও করছেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য বলা হবে। রিপোর্ট-পরবর্তী সময়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হব।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ