ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়িতে যথাযথউৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিরমধ্য দিয়েসাড়ম্বরে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমী – দশমী একত্রে পালিত হচ্ছে । এই বছরের দুর্গা পুজো অন্যবারের তুলনায় কিছুটা হলেও আলাদা। কারণ এই বছর মহানবমী ও দশমী তিথি পড়েছে একই দিনে।
মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবর প্রতিপদ তিথি থেকে শারদীয়া নবরাত্রির পুজো শুরু করেন সনাতন সম্প্রদায়। সেই তিথি ধরেই এই বছর মহানবমী ও দশমী একই দিনে পালিত হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে মন্দিতে অঞ্জলির পর শুরু হয় বিহিত পূজা । এরপর শুরুহয় সন্ধিপূজা ।
পূজাকে কেন্দ্র করে মন্ডপে মন্ডপে অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি নিবেদন করেছেন পূজারীরা।
নবমী – দশমী একসাথে হওয়ায় দুর্গা পূজা শেষের দিনে জেলার ৬১ টি মন্দিরে সন্ধ্যায় ভক্তি মূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চন্ডীপাঠ , আরতিসহ নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় মন্দিরে মন্দিরে ধুপ ধুনো দিয়ে সন্ধ্যারতিতে দেবীর আরাধনায় বাজানো হয় শঙ্খ, কাঁসা ও ঢাকের বাদ্য। আর শিশু থেকে আবাল বৃদ্ধ বনিতা পুর্ণাথীরা মায়ের কৃপা দর্শনে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করেন।
পূর্ণাথী ভক্তরা জানান, সকল প্রকার অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে শুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠার জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছেন ভক্তরা।
লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের পূজারি নারায়ণ চক্রবর্তী জানান, মায়ের কাছে সকল দেশ-জাতির মঙ্গল এবং সকলকে রোগমুক্ত সুস্থ রাখার জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছেন।
আগামীকাল বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা।