জিএম ইব্রাহীম (হাতিয়া) নোয়াখালী
ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূল অতিক্রম করলেও সোমবার ভোর রাত থেকে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এতে নোয়াখালীর দ্বীপ হাতিয়ার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। পানি বন্ধি হয়ে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার পরিবার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে হাতিয়ার সাথে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
হাতিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৮ নটিকেল মাইল। আকাশে ভারী মেঘের বৃষ্টিতে পরিবেশ পুরো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে। রাস্তা ঘাট যানবাহনশূন্য এক ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এদিকে সুখচর,নলচিরা, চরঈশ্বর, হরণি ও চানন্দী ইউনিয়নের অনেকাংশে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে এবং নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের বেড়িবাঁধ না থাকায় পানি বন্ধি হয়ে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার পরিবার। বন্ধ রয়েছে অনেকের রান্নার কাজ।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন ” মানবকন্ঠকে” বলেন, দ্বিতীয় দিনেও পর পর জোয়ারের পানিতে অনেকগুলো ওয়ার্ডের ২০ হাজার ভুক্তভোগী মানুষের বসতঘরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। রান্না করা খুবই কষ্টের হয়ে পড়েছে। ফলে অনেককেই অর্ধাহারে কাটাতে হচ্ছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিষ চাকমা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকার ৩৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আট হাজার হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। দুই হাজর ১৩টি গবাদিপশু জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে।