রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন টিক্কা পাড়ার আজিজ মহল্লার নির্মাণাধীন একটি ভবনের রড চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মোঃ আকাশ (১৪) নামের ওই কিশোরটি স্থানীয় একটি স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার পিতার নাম রহমত আলী।
বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহফুজুল হক ভুইঞা
তিনি জানান, এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগের সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করলে
জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্মাণাধীন ভবনটি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। এই ভবনে কয়েকজন শ্রমিক থাকত। তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
নিহতের ফুফু জানান ,আমার ভাইয়ের ছেলে আকাশ চিনু মিয়া স্কুলের ছাত্র ছিলো। সে চুরির সঙ্গে জড়িত নয়। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে এই দিকে আসত। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে আকাশ বাসায় ফেরেনি। বৃহস্পতিবার ভোরে একজন আমাদেরকে, ফোন করে জানায়, আকাশ অসুস্থ। তাকে বাসায় নিয়ে যেতে বলে৷ পরে আমরা আকাশকে বাসায় নিয়ে গেলে সে আরএ অসুস্থ হয়ে পরে। পানি খেতে চাইলে তাকে পানি দেওয়া হয়৷ এরপরই তার দেহ নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
নিহত কিশোরের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতভর মারধরের পর ভোর বেলায় পরিবারকে জানানো হয়। বাসায় নেওয়ার পরেই মৃত্যু হয়। নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতরা সবাই নির্মাণাধীন ভবনের আক্কাছ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এর সাব কন্ট্রাক্টর কাউসারের অধীনস্ত নির্মাণ শ্রমিক।রাতে যখন ঐ কিশোরকে মারধর করা হয় তখন অনেকে বাধা দিলেও তাতে কর্ণপাত করেন নি শ্রমিকরা। কিশোরটি সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক নির্মাণাধীন ভবনের সবাই। এলাকাবাসীর অভিযোগ টি শক্তিকে যখন শ্রমিকরা মারধর করছিল তখন সাব কন্টাকটার কাউসার তাদেরকে বিরত না করে বাসায় চলে যায়। আর এর সুযোগে শ্রমিকরা রাতভর মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী আরো জানায়, কিশোরটি যদিও চুরি করে থাকে তাঁকে আইনের হাতে দিতে পারতো কিন্তু এভাবে কেন হত্যা করা হবে? দেশে কি আইন নেই? না-কি আইনকে, তোয়াক্কা করা হয়নি এমনই প্রশ্ন ছিলো স্থানীয়দের। এ দিকে কিশোরকে নির্যাতনে হত্যার খবর পেয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে নির্মাণাধীন ভবনটি ঘিরে রাখে স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন স্থানীয়রা।