পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত বাড়তি শুল্ক বসানোয় অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের পেঁয়াজের বাজার। এক দিনেই কেজিতে বেড়েছে প্রায় ১৫ টাকা। রোববার রাজধানীতে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯৫ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা। কিন্তু এখনও দাম নিয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। বাজার তদারকিও করা হচ্ছে না। তাই চড়া দামেই পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছে ভোক্তারা।
কয়েকদিন আগেই হঠাৎ বেড়ে যায় ডিমের দাম। দফায় দফায় বৈঠক ও বাজারে অভিযান চালোনোতে দাম কিছুটা কমে। এই সুযোগে প্রায় শত কোটি টাকার মুনাফা করে নেয় ব্যবসায়ীরা।
অস্বাভাবিক মুনাফা লুটছে ব্যবসায়ীরা; নেই বাজার তদারকিঅস্বাভাবিক মুনাফা লুটছে ব্যবসায়ীরা; নেই বাজার তদারকি
এর আগে তেলের দাম নিয়েও ব্যবসায়ীদের কারসাজি ধরা পড়ে। হঠাৎ লাফিয়ে বাড়ে চিনি ও তেলের দাম। এবার আগুন লেগেছে পেঁয়াজের বাজারে। ভারত ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করার প্রভাব পড়েছে একদিনেই। অথচ সেই দরের পেঁয়াজ আমদানি শুরুই হয়নি।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানীতে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। যা এক দিন আগেও ছিল ৬০-৬৫ টাকা। আর দাম বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা দরে।
পেঁয়াজের বাজারে দাম বাড়ার কথা স্বীকার করছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকও। কিন্তু এতে সমস্যা দেখছেন না তিনি। কৃষিমন্ত্রী বলছেন, প্রয়োজন হলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে মিশর, চীন ও তুরস্ক থেকে।
ভারতের শুল্ক আরোপেও পেঁয়াজে প্রভাব পড়বে না: কৃষিমন্ত্রী ভারতের শুল্ক আরোপেও পেঁয়াজে প্রভাব পড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিশেষজ্ঞ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেছেন, শুধু সংকটের সময় পরিকল্পনা করতে হবে দীর্ঘ মেয়াদি। উৎপাদন বাড়ানো ও সংরক্ষণের ওপর জোর দেন।
দেশে এক বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৮ লাখ টন। এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানি হয় ৭ থেকে ৮ লাখ টন। এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয় ১২ লাখ টন আমদানির অনুমতি দিলেও এসেছে মাত্র ৩ লাখ টন।