খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার ক্যায়াংঘাটের উল্টাছড়ি বিহারপাড়াতে মহালছড়ি সেনা জোন কর্তৃক আনুমানিক ৪০শতক জমির গাঁজা ২২০ কেজি ধ্বংস করা হয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ ০৬ জুন ২০২২ তারিখ ১০.০০ ঘটিকায় মহালছড়ি উপজেলার দাতকুপিয়া সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন ক্যায়াংঘাটের বিহার পাড়া এলাকায় বিশেষ টহল চলাকালীন সময়ে দূর্গম পাহাড়ে গাঁজার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে পাহাড়ের মাদক ব্যবসায়ীরা।
খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন মহালছড়ি সেনা জোনের জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ আবু ফয়সাল তুষার, পিএসসি টহল দলের নেতৃত্বে দেন।
এ সময়ে তিনি বলেন মহালছড়ি সেনা জোনের এইরুপ কার্যক্রম সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকার মাদকের চাষ বন্ধ এবং মাদক নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে বলে অনুমেয়। মহালছড়ি জোনের মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য মহালছড়ি জোনের এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। ভবিষ্যতেও মহালছড়ি জোনের এরুপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মহালছড়ি জোন কর্তৃক পূর্বে এই ধরণের বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে সাধারণ মানুষের জোনের প্রতি, তথাপি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি সাধিত হচ্ছে।
উক্ত এ সময়ে ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সেনাবাহিনীর টহল দল,
পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা,উপজেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সহকারী পরিদর্শক মোঃ জাকির হোসেন এবং মহালছড়ি থানার এসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,স্থানীয় জনসাধারণ,স্থানীয় প্রশাসন’র প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গাঁজা ক্ষেত পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এই গাঁজা চাষের সাথে যুক্ত ছিলেন জমির মালিক দিলিপ কুমার চাকমা(৫০) পিতাঃ অনিল কুমার চাকমা, গ্রামঃ বিহারপাড়া, ৩নং কায়াংঘাট ইউনিয়ন,থানাঃ মহালছড়ি, জেলাঃ খাগড়াছড়ি। তিনি বিহারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।
নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্যমতে জানা যায়, গহীন অরণ্য ও দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে জনবসতি তুলনামূলক কম এরকম জায়গায় মাদক সন্ত্রাসীরা নিরাপদ এলাকা হিসেবে বেছে নিয়েছে। পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল গুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে।
প্রত্যন্ত ও দুর্গম এই এলাকায় জনসাধারণের চলাচল নেই বললেই চলে। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মহালছড়ি জোন কর্তৃক নজরদারীর ও শক্ত গোয়েন্দা কার্যক্রমের ফলে গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পায়।
নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকায় স্থানীয়দের জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে। মহালছড়ি জোন সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জনসাধারণের জীবন যাত্রার মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে।
এম/এস