দেশব্যাপী দ্রব্যমূলের লাগামহীন উর্ধগতি, দুর্নীতি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মাগুরা জেলা বিএনপি আয়োজিত আজ ১৫মে সকাল ১০ টায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক আলী আহমেদ, গত সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী, গরিবের বন্ধু ও জননেতা মনোয়ার হোসেন খান এবং কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুক। স্থানীয় প্রশাসনের আগাম অনুমতি না পাওয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভাটি কার্যত মাগুরা শহরের ইসলামপুর পাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও এর আশেপাশে সীমাবদ্ধ থাকে। উক্ত অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ আগামী নির্বাচনে দলের অভ্যন্তরিন ভেদাভেদ ভুলে সকলকে নিয়ে একসাথে রাজপথের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। নেতারা বলেন এই অবৈধ সরকারঅধীনে কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ হতে পারে না, তাই কোনো ধরণের আপোষ না করে আন্দোলনের মাধ্যমে অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। আজ দেশে এমন উন্নয়ন হচ্ছে যেখানে রডের বদলে বাশ দিয়ে সরকারি অবকাঠামো তৈরী করা হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে আর দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির ফলে জনগণের মাঝে নীরব দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হওয়ার আগেই হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করতে আহবান জানান। অন্যান্য নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো আক্তার হোসেন, সদস্য সচিব, মাগুরা জেলা বিএনপি, আলমগীর হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক, মাগুরা জেলা বিএনপি, বিএনপি নেতা মিঠুন রায় চৌধুরী, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুতুবুদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন, যুবদল সভাপতি ওয়াসিকুজ্জামান কল্লোল, সদর যুবদল আহবায়ক কুতুবুদ্দিন রানা, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শামীম আহমেদ ও ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রাহিম। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে প্রধান অতিথি কর্তৃক মাইক ব্যবহারকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়, পুলিশের লাঠিচার্জে ওয়াশিকুর রহমান কল্লোলসহ বেশ কয়েক জন আহত হন। পরে মিছিল থেকে ছাত্রদল সভাপতি আব্দুর রহিমসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এম/এস