গোয়ালন্দ সাইসাইন কলেজিয়েট স্কুলের ১১ ছাত্র ছাত্রী অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলো। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে গোয়ালন্দ সানসাইন স্কুল ভ্যান কে পিছন থেকে প্রমতি নামক কুষ্টিয়া লোকাল বাসটি মেরে দেয়। সে সময় স্কুল ভ্যানটি দুমরে মুচকে যায়।
সোমবার(১১ এপ্রিল) বেলা ১.৩০ মিনিটের সময় এঘটনাটি ঘটের। ভ্যানে থাকা ১১ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারো একটু ছুলে গেছে এবং চরম ভাবে ভয় পেয়েছে তারা।
স্থানীয়রা জানান, গোয়ালন্দ সাইন সাইন স্কুল ভ্যানটি আস্তে আস্তে দৌলতদিয়ার দিকে যাচ্ছিলো এসময় পিছন থেকে দ্রুত গতি প্রমতি লোকাল বাস যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো ব ০২-০৩২৯, এসে স্কুল ভ্যানটিকে চাপ দিলে ঘটনা স্থানে ভ্যানটি দুমরে মুচরে যায় ভ্যান থাকা ১১শিক্ষার্থীকে তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি তবে তারা চরম ভাবে ভয় পেয়েছে। বড় গাড়ি চালকেরা ছোট গাড়িকে চালকদের কে কিছুই মনে করে না, তারপরও বিশেষ করে স্কুল ভ্যানগুলোর প্রতি বড় গাড়ি চালকদের কে খিয়াল করা উচিৎ।এই মহাসড়কটি এক পাশ দিয়েই গাড়ি যাও আসা করা করাতে বেশি বেশি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। মহাসড়টি
যেনো মরণ ফাঁদে পরিণিত হয়েছে।
সাইসাইন কলেজিয়েট স্কুলের ভ্যানে থাকা এক ছাত্র মো. নাফিজুর রহমান বলেন, বাসটি আমাদের স্কুল ভ্যানটি কে ওভারটেক করতে গেলে বাসের সামেন একটি মাকোবাস পড়ে সে সময় কোন কিছু না বুঝার আগেই বাসটি আমাদের স্কুল ভ্যানটি চাপ দেয়। সে সময় স্কুল ভ্যানটি দুমরে মুচরে যায় স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্বার করে সবার গাডিয়ান কে ফোন করে। গাডিয়া এসে যার ছেলে মেয়েকে নিয়ে যায়।
সাইসাইন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুরতাজ আলম রবিন বলেন, আল্লাহুর রহমতে আজ অল্পের জন্য আমার ১১ জন ছাত্র ছাত্রী দুর্ঘনার হাত থেকে প্রাণে বেঁছে গেলো। ঢাকা খুলনা মহাসড়কটিতে বড় গাড়ি গুলো বেপরয়া ভাবে চলাচল করার কারনে মাঝে মাঝে ঘটে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে এসব বড় গাড়ির চালকদের স্কুল ভ্যান গুলোর প্রতি সুনজর রাখা দরকার। তবে আমরা চিন্তা করছি স্কুল ভ্যান গুলো বাদ দিয়ে নতুন করে চার চাকার লেগুনা গাড়ি দিয়ে স্কুল ভ্যান তৈরী করবো।