• বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
লংগদুতে দুইদিন ব্যাপি কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দীর্ঘ ১৭ বছর পর পর্যটনের লেক পরিস্কার করছে রামগড় বিএনপি কাপ্তাই ইউএনও’র হস্তক্ষেপে মুক্তি মিললো ভাতের হোটেলে কাজ করা ৪ শিশুর অব্যবস্থাপনার দীর্ঘ ছায়া কাটিয়ে নতুন দিগন্তে পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু মাটিরাঙ্গা জোনে মাসিক নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত বাঘাইহাট বাজার বয়কট প্রত্যাহার করেছে সাজেকবাসী মাটিরাঙ্গায় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় শাড়ি ও টি-শার্ট উদ্ধার কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী কলেজ ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি’র উদ্বোধন রামগড় একতা সমাজ সেবা সংগঠনের পক্ষ থেকে হতদরিদ্রের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ খাগড়াছড়িতে ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন করেছে ২৩ বিজিবি খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং সংসদীয় আসনে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীতা ঘোষণা

বাজারে মুরগির দাম বাড়লেও ভাল নেই প্রান্তিক খামারীরা

অলিউল্লাহ রাজশাহীঃ / ৪০০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২

মুরগীর খুচরা মুল্য আকাশ ছোঁয়া।খুচরা বাজারে সোনালী মুরগীর কেজি প্রতি দাম ২৮০ থেকে ২৮৫ টাকা।মুরগী কিনতে হিমসিম খাচ্ছে ক্রেতারা।বয়লার মুরগীর দামও কম নয়।কেজিতে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০থেকে ১৮০ টাকায়।

এদিকে পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোনালী মুরগী ২৫০ টাকা এবং বয়লার ১৪৫ টাকায় বিক্রি করছেন প্রান্তিক খামারীরা।নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

এদিকে মুরগীর বাজারে দাম আকাশ ছুঁলেও খামারিরা পাচ্ছে না ন্যায্য মুল্য।খাদ্যের দাম, বিদ্যুৎ খরচ ,বাচ্চা এবং ঔষধের দাম উর্দ্ধগতি হওয়ায় মিলছে না কাঙ্খিত মুল্য।
ফেব্রুয়ারী ১৪ থেকে মার্চ ৭ পর্যন্ত দুই দফায় ২১৫ টাকা মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারীরা ভুগছেন অস্বস্তিতে।
ফেব্রুয়ারী ১৪ এর আগে সোনালী ফিড বিক্রি হতো ২৪৫০ থেকে২৪৮০ টাকা এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৬৯০ থেকে ২৭৫০ টাকা(কম্পানী ভেদে দাম কমবেশি)।বেড়েছে বস্তা প্রতি২১৫ থেকে ২৫০ টাকা।বয়লার ফিড খুচরা বাজারে ফেব্রুয়ারিতে ২৭০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হয় ২৯৮০ থেকে ৩০০০ টাকা।একদিনের সোনালী বাচ্চা গত বছর ১৬ থেকে ২০ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৭১ টাকা।বয়লার বাচ্চা ৩০ টাকা থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়।লিটারে ব্যবহুত তুষ গত বছর ৫ টাকা কেজি দর থেকে পৌছেছে ১১ টাকায়।

এছাড়া বিদ্যুৎ বিল,শ্রমিক খরচ এবং পরিবহন খরচ মেটাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন খামারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বাচ্চার হ্যাচারীতে বাচ্চা প্রতি খরচ হয় ১৩-১৪ টাকা সেখানে হ্যাচারী মালিকরা সিন্ডিকেট করে বিক্রি করছেন ৫ গুন বাড়তি দামে।
দালালদের দৌরাত্ম, ঢলন প্রথাও দামের উর্দ্ধগতির জন্য দায়ী বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোনালী মুরগীর কেজি প্রতি ২৪০ টাকা খরচ হলেও পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা।বয়লার খরচ কেজি প্রতি ১৩০ টাকা এবং বিক্রি ১৪৮ টাকা। দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে হলেও স্বস্তিতে নেই খামারীরা।

প্রান্তিক খামারী গোদাগাড়ী উপজেলার মডিকেল মোড় এবং সরমংলা এলাকার আমিনুল ইসলাম ও মামুন বলেন,বাচ্চা,খাদ্য,তুষ,বিদ্যুৎ খরচ এবং ঔষধের দাম নাগালের বাইরে হওয়ায় আমরা কাঙ্খিত মুল্য পাচ্ছি না। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে রাণীক্ষেত,গামবোরো ভ্যাকসিন গুলোও আমারা ঠিকমত পাই না।কিছু অসাধু সরকারী কর্মকর্তারা অসৎ উপায়ে ডিলারদের কাছে বিক্রি করে দেয়।সেখান থেকে আবার আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়।ভ্যাকসিন নিতে গেলে বলে,ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে। রাণীক্ষেত ভ্যাকসিন কিছু পরিমান পেলেও গামবোরো ভ্যাকসিন একেবারে পাই না।
এছাড়াও রাজাবাড়ি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হ্যাচারীতে আমি যোগাযোগ করে দেখেছি। তারা বলছেন আমাদের কাছে বাচ্চার অর্ডার করলে ছয় মাসের আগে বাচ্চা দিতে পারবো না।সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে আমরা কোন সাপোর্ট পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার বলেন,রাণীক্ষেত ভ্যাকসিন আমাদের পর্যাপ্ত পরিমান আছে কিন্তু গামবোরো ভ্যাকসিনের প্রডাকশন কম হওয়ায় আমরা খামারীদের চাহিদা মেটাতে পারি না।তবে আপনি দোকানে সরকারী ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে যেটি বললেন আমরা সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ