পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে প্রথম বারের মতো হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে নিউ রাঙামাটি জামে মসজিদের ২য় তলায় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন, রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজি মো. মুসা মাতাব্বর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মহসিন রানা, রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নঈমুদ্দিন আল কাদেরী, বনরুপা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সুলতান মাহমুদ, কাঠালতলি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সেকেন্দার হোসেন, পুরাতন বাস স্টান্ড জামে মসজিদের পেশ ইমাম এমএ মোস্তফা হেজাজী, কাপ্তাই জামে মসজিদের সুপার মাওলানা জসিম উদ্দিন নূরী, নিউ রাঙামাটি জামে মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর জব্বার ও তৈয়বিয়া আইডিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ আক্তার হোসেন চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজী মো. মুছা মাতব্বর বলেন, প্রতি বছর রমজান মাসে টেলিভিশন ও মিডিয়ার মাধ্যমে আমি পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াত শুনি এবং প্রতিযোগিতা দেখি। এসব অনুষ্ঠান দেখে আমি নিজ জেলায় কোরআনের প্রচার-প্রসারে একটি প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেই। এবারই প্রথম বিধায় শহর কেন্দ্রীক করা হয়েছে। আগামীতে ১০উপজেলা নিয়ে বৃহৎ আকারে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, কুরআন তেলাওয়াতে মানুষের আত্মশুদ্ধি ঘটে। মনে পরম শান্তি আসে। কুরআন মানুষকে উচ্চতর মর্যাদায় আসীন করে। প্রত্যেক মুসলমানকে বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
জেলা পরিষদ সদস্য মুসা মাতাব্বরের উদ্যোগে, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় ও নিউ রাঙামাটি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগীতার বাছাই পর্বে রাঙামাটি শহরের ৮টি মাদ্রাসার ৭৫ জন প্রতিযোগি অংশ নিচ্ছে। ক, খ ও গ গ্রুপে মোট ৯জনকে নির্বাচিত করা হবে। আজ ক গ্রুপে ৩১জন প্রতিযোগীর মধ্যে ২০জনকে ২য় রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।