ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় অনাধিকার ভাবে দোকানে প্রবেশ করে ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দোকান মালিক মো. সবুজ বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আইচা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ আইচা থানার অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জামাল গংরা বিভিন্ন সময় বজলু বাজার অবস্থিত ‘সাগর ষ্টোর’ নামে দোকান মালিক সবুজ’কে দোকান ছাড়ার এবং খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় গত (১৭ মার্চ) সকালে জামাল’র নেতৃত্বে বজলু বাজারের সাগর ষ্টোর তৈল ও মোদি দোকানে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালায় ও জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে এবং মামলার বাদীর ছোট ভাই সাগর’কে এলোপাতারী মারপিটসহ দোকান ঘর ভাংচুর ও দোকনের মালামাল নষ্ট করে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দোকান মালিক নজরুল নগর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে সবুজ বাদী হয়ে হরযত আলী’র ছেলে মো. জামাল (৩৫), ও কামাল (৩৭), এবং মৃত আজিজ খাঁ’র ছেলে মো. হালেম খাঁ (৫৫), ও মো. মন্নান খাঁ, এবং হালিম খাঁ’র ছেলে সবুজ(২২), ও রুবেল (২৮), মন্নান খাঁ’র ছেলে মো. মহাসিন খাঁ সহ ৭ জনকে আসামী করে দক্ষিণ আইচা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাদী মো.সবুজ জানান,প্রায় ৮ মাস আগে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে হাজী মোহাম্মদ নূরুলহুদার কাছ থেকে বজলু বাজারের ২ শতাংশ জমি সহ ঘর ভিটা ক্রয় করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। হটাৎ করে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার সময় আমার ক্রয়কৃত ২ শতাংশ বাজারের ঘর ভিটার উপর মো. জামাল গংরা জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করণসহ আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করে মালামাল ও আমার তৈল কিনার জন্য গুচ্ছিত থাকা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায় তারা। আমার দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমি আইনের মাধ্যমে এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তর মূলক শাস্তি দাবী করছি। অভিযুক্ত জামালকে ফোন দিলে রিসিভ করে কথা বলেন নাই। দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন মামলার সততা নিশ্চিত করে বলেন, একজন আসামিকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরকে খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এম/এস