• বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
লংগদুতে দুইদিন ব্যাপি কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দীর্ঘ ১৭ বছর পর পর্যটনের লেক পরিস্কার করছে রামগড় বিএনপি কাপ্তাই ইউএনও’র হস্তক্ষেপে মুক্তি মিললো ভাতের হোটেলে কাজ করা ৪ শিশুর অব্যবস্থাপনার দীর্ঘ ছায়া কাটিয়ে নতুন দিগন্তে পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু মাটিরাঙ্গা জোনে মাসিক নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত বাঘাইহাট বাজার বয়কট প্রত্যাহার করেছে সাজেকবাসী মাটিরাঙ্গায় বিজিবির অভিযানে ভারতীয় শাড়ি ও টি-শার্ট উদ্ধার কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী কলেজ ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি’র উদ্বোধন রামগড় একতা সমাজ সেবা সংগঠনের পক্ষ থেকে হতদরিদ্রের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ খাগড়াছড়িতে ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন করেছে ২৩ বিজিবি খাগড়াছড়ি ২৯৮ নং সংসদীয় আসনে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীতা ঘোষণা

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় অবৈধ দখলে ধলিয়া লেক গড়ে উঠেছে বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান

রিপন সরকার,স্টাফ রির্পোটার খাগড়াছড়ি: / ৩৫২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের বাজার সংলগ্ন ধলিয়া লেক দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন ঘরবাড়ি, হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা, যার ফলে যেমন দুষিত হচ্ছে পরিবেশ অন্যদিকে হুমকির মুখে বাজার ব্যাবসায়ী সহ সকল প্রতিষ্ঠান, কোন কারনে অগ্নিকান্ডের মত বড় কোন দুর্গটনা ঘটলে তাৎক্ষনিক অগ্নিনিরুৎপাতে পানির সমস্যায় পড়বে দমকলবাহিনী এমনটা মনে করছে স্থানীয়রা।
জানা গেছে মাটিরাংগা উপজেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন ধলিয়া লেক চলছে দখলের প্রতিযোগিতা। প্রায় ১কি.মি দীর্ঘ এই লেকটির দুই পাড়ে রয়েছে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা আর ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। লেকের পাড়ে হোটেল রেস্টুরেন্টসহ যে সকল স্থাপনা রয়েছে সে সকল প্রতিষ্টানের ময়লা-আবর্জনার একমাত্র স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই লেকটি দীর্ঘ কাল থেকে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন ও হারুন মিয়া জানান, আমাদের জানামতে ঢাকার বুড়িগঙ্গাতেও হয়তো এতো ময়লা-আবর্জনা থাকে না। লেকের পাশে যাদের ঘর-বাড়ি আছে তাদের টয়লেটের লাইন দিয়েছে লেকের মধ্যে। এই লেকটি আগে উপজেলার সকলের জন্য মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্র ছিল তা আজ ম্যালিরিয়া বাহক মশা উৎপাদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। লেকের পানির রং বর্তমানে কালো রং ধারণ করেছে এবং প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এই পানি থেকে।
মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি জসিম উদদীন ভুঁইয়া জানান, লেকের রক্ষনাবেক্ষণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, দেখাশোনার দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের কাছে ন্যস্ত থাকলেও আজ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। উপজেলার একমাত্র প্রাচীন লেকটিকে নতুন রুপে ফিরে পেতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সচেতন নাগরিক হাসানুল হক বাছরি বলেন, মাটিরাঙ্গার প্রান কেন্দ্রের লেকটি জলধারার প্রধান উৎস। এটা ময়লা আবর্জনা ও প্রভাবশালীরা দিন দিন দখল করে নিচ্ছে। প্রশাসন এবং পৌরসভা লেকটি সংরক্ষণ করে প্রকল্পের আওতায় এনে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ মহল খুব দ্রুত এই সমস্যার সঠিক সমাধান করবেন এমনই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র শামসুল হক বলেন, প্রাচীন এই লেকটি দখল করে অনেকেই মধ্যখানে চলে গেছে। অন্য এলাকা থেকে কবুলত এনে জালিয়াতি করে বন্ধবস্তি করে ফেলছে। প্রশাসন যদি সরকারিভাবে লেকটি উদ্ধার করে তাহলে, প্রকল্পের আওতায় এনে লেকটিকে পর্যটনে পরিনত করার আশ্বাস দেন তিনি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তৃলা দেব জানান, প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। লেকটি উদ্ধারে প্রতিমাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত আছে। নির্দিষ্টভাবে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ