খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের বাজার সংলগ্ন ধলিয়া লেক দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন ঘরবাড়ি, হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা, যার ফলে যেমন দুষিত হচ্ছে পরিবেশ অন্যদিকে হুমকির মুখে বাজার ব্যাবসায়ী সহ সকল প্রতিষ্ঠান, কোন কারনে অগ্নিকান্ডের মত বড় কোন দুর্গটনা ঘটলে তাৎক্ষনিক অগ্নিনিরুৎপাতে পানির সমস্যায় পড়বে দমকলবাহিনী এমনটা মনে করছে স্থানীয়রা।
জানা গেছে মাটিরাংগা উপজেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন ধলিয়া লেক চলছে দখলের প্রতিযোগিতা। প্রায় ১কি.মি দীর্ঘ এই লেকটির দুই পাড়ে রয়েছে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা আর ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। লেকের পাড়ে হোটেল রেস্টুরেন্টসহ যে সকল স্থাপনা রয়েছে সে সকল প্রতিষ্টানের ময়লা-আবর্জনার একমাত্র স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই লেকটি দীর্ঘ কাল থেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন ও হারুন মিয়া জানান, আমাদের জানামতে ঢাকার বুড়িগঙ্গাতেও হয়তো এতো ময়লা-আবর্জনা থাকে না। লেকের পাশে যাদের ঘর-বাড়ি আছে তাদের টয়লেটের লাইন দিয়েছে লেকের মধ্যে। এই লেকটি আগে উপজেলার সকলের জন্য মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্র ছিল তা আজ ম্যালিরিয়া বাহক মশা উৎপাদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। লেকের পানির রং বর্তমানে কালো রং ধারণ করেছে এবং প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এই পানি থেকে।
মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি জসিম উদদীন ভুঁইয়া জানান, লেকের রক্ষনাবেক্ষণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, দেখাশোনার দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের কাছে ন্যস্ত থাকলেও আজ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। উপজেলার একমাত্র প্রাচীন লেকটিকে নতুন রুপে ফিরে পেতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সচেতন নাগরিক হাসানুল হক বাছরি বলেন, মাটিরাঙ্গার প্রান কেন্দ্রের লেকটি জলধারার প্রধান উৎস। এটা ময়লা আবর্জনা ও প্রভাবশালীরা দিন দিন দখল করে নিচ্ছে। প্রশাসন এবং পৌরসভা লেকটি সংরক্ষণ করে প্রকল্পের আওতায় এনে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ মহল খুব দ্রুত এই সমস্যার সঠিক সমাধান করবেন এমনই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র শামসুল হক বলেন, প্রাচীন এই লেকটি দখল করে অনেকেই মধ্যখানে চলে গেছে। অন্য এলাকা থেকে কবুলত এনে জালিয়াতি করে বন্ধবস্তি করে ফেলছে। প্রশাসন যদি সরকারিভাবে লেকটি উদ্ধার করে তাহলে, প্রকল্পের আওতায় এনে লেকটিকে পর্যটনে পরিনত করার আশ্বাস দেন তিনি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তৃলা দেব জানান, প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। লেকটি উদ্ধারে প্রতিমাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত আছে। নির্দিষ্টভাবে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত