মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্প্রতি ৪২তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে নবনিয়োগপ্রাপ্ত ১০জন নবীন চিকিৎসক সহকারী সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। ২৮ শে ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুরে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সম্মেলন কক্ষে এক বরন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
নানা প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে অজানা পরিবেশে কাজ করতে আসা চিকিৎসকদের অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহাফুজুর হক এর তত্ত্বাবধানে ফুলেল অভ্যর্থনা ও সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন… মহেশখালী-কুতুবদিয়ার মাটি ও মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক-এমপি। নবনিয়োগপ্রাপ্ত নবীন চিকিৎসকদের বরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন.. আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শিব শেখর ভট্টাচার্য্য, কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল, ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা: রানা চৌধুরী, মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবুল কাসেম, ডাঃ মামুনর রশিদ, ডাঃ বিনয় সেন, ডাঃ কনিকা দস্তিদার, ডাঃ সানজিদা শহীদ টুম্পা, ডাঃ ফাহিম শাহরিয়ার শাওন, ডাঃ রানা দে’সহ চিকিৎসক কর্মকর্তাবৃন্দ,নার্স, মিডওয়াইফ এবং গণমাধ্যম কর্মী।
নতুন যোগদানকৃত চিকিৎসকগ হলেন মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা গ্রামের কলেজ পাড়ার ডাঃ আজমল হুদা,হোয়ানক রাজুয়ার ঘোনা গ্রামের ডাঃ রেজাউল করিম,বড় মহেশখালী মুন্সীর ডেইল গ্রামের ডাঃএ এসএম সায়েম,ধলঘাটা সুতুরিয়া গ্রামের ডাঃ সৌরভ শর্মা জনি,কালারমারছড়া আধারঘোনা গ্রামের হোসনে আরা খানম রিপা,ঢাকা নবাবগঞ্জের ডাঃ সাদিয়া খান,টাঙ্গাইল সখিপুরের কচুয়া গ্রামের ডাঃ আতিকুল বাশার রনি,বড় মহেশখালী জাগিরাঘোনা গ্রামের ডাঃ আব্দুল্লাহ আল রোমান,মাতারবাড়ীর ডাঃ মোহাম্মদ আরামান কাদের,পরবর্তীতে উক্ত স্বাস্থ্য ক্যাডারগণকে হাসপাতাল ঘুরে দেখানো হয় ৪২তম বিসিএস এর সহকারী সার্জনদের। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের থাকা ইপিআই কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কেও পরিচিত করা হয় তাদের।
নবনিযুক্ত সহকারী সার্জন আজমল হুদা বলেন, প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবীন চিকিৎসক, কর্মস্থলে এরকম উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে নবীন চিকিৎসকরা বেশ সন্তুষ্ট। আগামী দুবছর উপজেলার জনগণদের নিজেদের সর্বাত্মক সেবা প্রদানের “অনেক দূর থেকে আসা কলিগদের ভোরের হতাশা দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই অনেকটা কেটে গেছে। বাকিটুকুও কেটে যাবে, এই বিশ্বাস নিয়ে, দেশের স্বাস্থ্য সেবাকে আরও জনমুখী করবার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।