করোনাভাইরাস মহামারীকালে মানবিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সচেতনতা মূলক সংগঠন স্বপ্নবুনন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুন্না তালুকদার (নূর)।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকতার হোসেন, ওআইসির প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান, তাতারস্তানের যুব মন্ত্রী তিমুর সুলেমানাভ ও মালদ্বীপের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ মাহলুফ।
সেরা সাহসিকতা ক্যাটাগরিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে জাতীয় পর্যায়ে ৩য় স্থান অর্জন করে ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ এই পুরস্কার গ্রহণ করেন মুন্না তালুকদার (নূর)। তিনি রাঙামাটি জেলার স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সচেতনতা মূলক সংগঠন স্বপ্নবুনন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ এর অধীনে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। মোট ১১টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
পুরস্কার পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় মুন্না তালুকদার জানান, করোনাভাইরাস সংকটের শুরুতে সংক্রমিত এলাকায় লকডাউন নিশ্চিতকরণ, লকডাউনে থাকা রোগীর বাড়িতে খাদ্য-ওষুধ সরবরাহ, খোলা মাঠে বাজার স্থানান্তর, সবজি বিক্রির উদ্যোগসহ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে অন্যরকম অভিজ্ঞতা ও পরিস্থিতির মুখোমুখি হন তিনি। তিনি বলেন, মানবিকতার টানে করোনার ভয়কে পেছনে ঠেলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। চেষ্টা করেছি মানুষের জন্য কিছু করার।” তিনি মনে করেন, আজকের অর্জন ও কৃতিত্ব তাদের প্রতি যারা তাকে ওই সময় কাজ করতে সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি এই পুরস্কার তাদের জন্যই উৎসর্গ করেছেন। তিনি, রাঙামাটিবাসীকে এবং স্বপ্নবুনন সংস্থাসহ রাঙামাটির সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সকল শুভানুধ্যায়ীদের এই প্রাপ্তি উৎসর্গ করেন। পাশাপাশি একই সঙ্গে যে পরিবারগুলো এই সংকটে স্বজন হারিয়েছেন তাদের জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা জানান তিনি।
উল্লেখ: মুন্না তালুকদার এর নেতৃত্বে স্বপ্নবুনন সংস্থা কর্তৃক বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের পাশাপাশি করোনায় অতি মহামারী কালীন প্রথম লকডাউন এর পূর্ব হতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুতকরণ, সামাজিক দূরত্ব গোল বৃত্ত অংকন,দশ উপজেলায় বাসায় বাসায় খাদ্য বিতরণ,করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, দাফন কাফন কার্যক্রম, প্লাজমা ডোনেট সেল, কৃষকের ধান কাটা কর্মসূচি, গর্ভবতী ও ব্যাচেলরদের জন্য বিশেষ খাদ্য ব্যাগ প্রদান সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।