আকস্মিক ঘুণিঝড়ের কবলে পড়ে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকুকরী মুকরী ইউনিয়নের চরপাতিলা এলাকার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ১৮ ঘন্টা পর বৈরী আবহাওয়া ও নদীর ঢেউয়ের কারনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের ডুবুরী দল নদীতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করেছেন। এ ঘটনায় মা ও ছেলে এখন নিখোঁজ রয়েছেন। রোববার দুপুরে চর পাতিলা থেকে চর কচ্ছপিয়া আসার পথে মেঘনা নদীতে আকস্মিক ঘুর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে পণ্যবাহী ট্রলারে একই পরিবারের ৯ জন নদী পার হওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়লে ট্রলারটি উলটে ঘটনাস্থলে জোনায়েদ (৩) নিহত সহ স্বপন (৩০) ও বিলকিস (৫০) নিখোঁজ হয়। খরব পেয়ে চরমানিকা আউটপোষ্ট কোষ্টগার্ড ও স্থাণীয়ার উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে জোনায়েদকে মৃত সহ ৭ জনকে উদ্ধার করে। দিন ব্যাপী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে নিখোঁজদেও কোন সন্ধান না পাওয়ার কারনে চরকুকরী মুকরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ডুবুরী দলের অভিযান প্রয়োজনীতার কথা জানালে ২য় দিনে বরিশাল থেকে ২জন ডুবুরী, ভোলা জেলা ষ্টেশন কমান্ডার, চরফ্যাশন ষ্টেশন কমান্ডারের নের্তৃত্বে ৭ জন দুপুর ২টার সময় দুর্ঘটনাস্থল পৌছে সন্ধ্যা নাগাদ চেষ্টা করেন। ভোলা জেলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন কমান্ডার জানান, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও নদী শীতল না হওয়ার কারনে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এ সময় তাদের সাথে কোষ্টগার্ড, কুকরী মুকরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ফাড়ি ইনচার্জ এসআই আবু হানিফ,ইউপি সদস্য বাদশা, ও নিখোঁজ স্বপনের ভাই মামুন সহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিল।
মামুন জানান, তার বড় ভাই স্বপন ভাবি রোজিনা মা বিলকিস ও ২ ভাতিজা জোনায়েদ ও জোবায়েরকে নিয়ে শ্বশুড় মতলব ফকিরের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন । ৩দিন পর মুজিবনগর সিকদারের চর ৯ নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়ী ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।