খাগড়াছড়িঃ খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ ৪৮ টি পদ শুন্য থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাবাসি।
অফিস সুত্রে জানাযায়,হাসপাতালে ১০জন চিকিৎসকসহ গুরুত্বপূর্ণ ৪৮টি পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে হাসাপাতাল কৃর্তপক্ষ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার সাধারন মানুষ।
অফিস কর্তৃিপক্ষ জানান সার্জারি, অ্যানেস্থেসিয়া এবং গাইনীর মতো গুরুত্বপূর্ন পদগুলোও শূন্য। ফলে ছোট ধরনের অপারেশনও সম্ভব হচ্ছেনা এখানে এবং মাতৃত্বকালীন বা প্রসূতিসেবা এমনকি ডেলিভারিও সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়া চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে বর্হিঃবিভাগের রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা প্রদানেও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
জুনিয়র কনসালটেন্ট-সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি, অ্যানেস্থেসিয়ার অনুমোদিত পদ থাকলেও সবগুলো পদই শুন্য রয়েছে যুগের পর যুগ ফলে অপারেশনসহ দূর্ঘটনা কবলিত গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের স্থানান্তর করতে হয় খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে। এর ওপর করোনাকালীন সময়ে করোনার পরীক্ষা এবং টিকা প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাড়তি কাজও করতে হচ্ছে কর্মরতদের।
, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন) জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) এবং আরএমও এসব বিভাগে একটি করে অনুমোদিত পদ থাকলেও প্রত্যেকটি পদই শূন্য রয়েছে। এছাড়া মেডিকেল অফিসারের ৭টি পদ থাকলেও রয়েছেন মাত্র ২জন, ৫টি পদই শূন্য।
আরো শূন্য পদের মধ্যে রয়েছে সিনিয়র স্টাফ নার্স ৬জন, স্যাকমো ১জন, ফার্মাসিস্ট ২জন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ১জন, স্টোর কিপার ১জন। স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ২টি পদের ২টিই শূন্য রয়েছে। শূন্য পদে আরো আছে, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ২জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ৩জন, স্বাস্থ সহকারী ১৫জন, সহকারী নার্স ১জন এবং এমএলএসএস/অফিস সহায়ক ৪জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তনয় তালুকদার জানান, চিকিৎসক সংকট ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চত করার লক্ষে শূন্যপদের তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছা পাঠানো হয়েছে এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।