বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ
বলেন, বিলাইছড়ি উপজেলায় ছোট বড় অনেকগুলো ঝর্ণা রয়েছে, এর সৌন্দয্যকে আমরা দেশে বিদেশে পরিচিত লাভ করাতে চাই, এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন মান উন্নতি করতে চাই। আমরা চাই এখানকার মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান হউক।
তিনি গত শনিবার রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন এর দূর্গম দোজড়ী পাড়ায় অবস্থিত গাছকাটা ছড়া ঝর্ণা পরিদর্শন শেষে বিকেল সাড়ে ৪ টায় দোজড়ী পাড়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কার্বারি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইকথা বলেন।
তিনি আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি সুখী সুন্দর বাংলাদেশ। আজ তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন সহ দেশের পর্যটন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ট্যুরিজম বোর্ডের পক্ষ হতে এই এলাকায় অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বাড়াবো। যাতে পর্যটকরা অতি সহজে এই ঝর্ণার অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এইসময় ট্যুরিজম বোর্ডের উপ পরিচালক সাইফুল হাসান, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস উৎপলা চাকমা, বিলাইছড়ি সদর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, ৩ নং ওয়ার্ডের , ইউপি সদস্য জয়তন তনচংগ্যা, স্থানীয় কার্বারি গোপাল চন্দ্র কার্বারী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মানে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শিল্পকলার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, উপজেলা সদর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত সহ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পি, কলা কৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
এইসময় অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ স্থানীয় শিল্পিদের মনোমুগ্ধকর নাচ ও গান উপভোগ করে মুগ্ধ হন এবং তাদের পরিবেশনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।