খুলনা ডিভিশন:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এবার নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ আওয়ামী লীগের ৯০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- নড়াইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট সুভাষ চন্দ্র বোস,সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন, নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র আঞ্জুমান আরা, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদককসহ ৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতাকে রুখতে মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে ৯০ জনসহ আরও ৪শ’ থেকে ৫শ’অজ্ঞাত আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে রাম দা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রডের মতো দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি শর্টগান, বন্দুক-পিস্তল ও বোমা নিয়ে নড়াইল চৌরাস্তায় সমাবেশ করে। সমাবেশ চৌরাস্তা থেকে চিত্রা নদীর ওপর রাসেল সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত বিস্ততৃ ছিল। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ও নিরীহ শান্তিকামী জনতা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল নিয়ে শহর অভিমুখে আসছিল।
রাসেল সেতুর কাছাকাছি পৌঁছাতেই মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। রাম দা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে হামলার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর শর্টগান ও পিস্তল থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বোমার। বৃষ্টির মতো নিক্ষেপ করা হয় ইট-পাটকেল। এতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।