• মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মহালছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পালিত হলো পবিত্র ঈদ ই মিলাদুন্নবী (সাঃ) গুইমারায় সীরাতুন্নবী (সা:) উপলক্ষ্যে জামায়াতের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রথমবারের মতো চট্রগ্রাম বিভাগে NUSDF Bangladesh আয়োজন করে ‘পাবলিক স্পিকিং মাস্টারমাইন্ড’ প্রতিযোগিতা গোয়ালন্দে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পৃথক মিছিল অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত   গুইমারাতে ৩০ কেজি গাঁজা সহ একজন গ্রেপ্তার গুইমারাতে এডিপির বিশ লাখ টাকার প্রকল্পে দুর্নীতি কাজ না করেই টাকা উত্তোলন ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে রাঙামাটিতে ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা দ্বিতীয় বারের মতো বন্ধ করা হলো কাপ্তাই স্পীল ওয়ের ১৬ জলকপাট লংগদুতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নদীতে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ সেনাবাহিনীর সিন্দুকছড়ি জোনে মাসিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ছাত্রদের আন্দোলনে শহিদ ‘সুজয়’ স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ

সাধন সাহা জয়, নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: / ১২১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

সাধন সাহা জয়, নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

তানজিল মাহমুদ সুজয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শহিদ ‘সুজয়’-এর স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সব শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সম্মতিক্রমে বিটঘর পুকুরপাড়ের তিন রাস্তার মোড়কে ‘শহিদ সুজয় চত্বর’ নামকরণ ও তার পাশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সুজয় বিটঘর ইউনিয়নের একমাত্র শহিদ। জাতির দ্বিতীয় স্বাধীনতার দিনে বিজয় উদযাপনের সময় স্বৈরাচার সরকার তাকে পুড়িয়ে মারে। নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের তরুণ টগবগে যুবক তানজিল মাহমুদ সুজয় (১৯) গত ৫ আগস্ট বিকাল ৩টায় সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পেট্রলের আগুনে পুড়ে মারা যায়।

সুজয় ছিলেন বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে সরব। সরকার পতনের ঠিক আগের দিন নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন; যা এখন রীতিমতো ভাইরাল। পোস্টে সুজয় স্বৈরশাসককে উদ্দেশ করে লিখেন- ‘আমি বেঁচে থাকলে বীর, মরলে শহিদ। তুই বাঁচলে টোকাই মরলে আলহামদুলিল্লাহ। হিসাবটা মিলা’।

সুজয়ের বাবা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে এই সরকারের দুঃশাসনের বিপক্ষে সবসময় সরব ছিল। বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিদিন আন্দোলনে যোগ দেয়। সরকারের পতন ঘটলে সবার সঙ্গে আমার ছেলেও আনন্দে আত্মহারা হয়ে উদযাপন করতে রাস্তায় নামলে সাভার থানায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি পুলিশের পোশাক পরে এলোপাতাড়ি গুলি করে তাকেসহ ১১ জনকে একটি কাভার্ডভ্যানে তুলে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে সেখানে সবারই মৃত্যু হয়।

সুজয়ের বাবা ছোটখাটো একটি ব্যবসা করতেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা এখন পরিবারের ভবিষ্যত কী হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত।

শহিদ সুজয়ের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার প্রত্যয়ে বিটঘর ইউনিয়ন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ