মেহেদী ইমামঃ
২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষে মেয়র আকবরের পদত্যাগের দাবিতে আবারও রাঙামাটি পৌরসভায় বিক্ষোভ এবং সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। গেল বৃহস্পতিবার রাঙামাটি পৌরসভা গেইটে মেয়রকে দূর্নীতিবাজ উল্লেখ করে আকবর হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। আল্টিমেটামের ৭২ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও মেয়র পদে বহাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী।
রোববার (১৮ আগস্ট) বেলা আড়াই টায় রাঙামাটি পৌরসভার মাঠে আবারও আকবর হোসেন চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করে ২শতাধিক শিক্ষার্থী।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা মেয়রের নানা দুর্নীতি, অত্যাচার ও নির্যাতনের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দূর্নীতির আকড়ে বসে আছে আকবর হোসেন চৌধুরী। ভুয়া উন্নয়ন প্রকল্প তৈরি, নিজের কাছের লোকদের টেন্ডারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার কাজ দেওয়া, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে গত দুই মেয়াদে তিনি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। রাজনৈতিক প্রভাবে তিনি ২দফায় মেয়র হিসেবে দায়িত্বে থাকলেও উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন করেননি।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা মেয়রের পদত্যাগ দাবি করে সড়ক অবরোধ করে। ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধে রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কে কয়েকশো যান আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সহস্রাধিক যাত্রি। এসময় শিক্ষার্থীরা রোগী ও জরুরি পরিবহন সেবা অবরোধের আওতার বাইরে রাখেন।
সড়ক অবরোধের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) নাসরিন সুলতানা এবং নেজারত ডেপুটি কালেক্টর শামিম হোসেন। পরে ছাত্রদের দাবির প্রেক্ষিতে এসময় পৌরসভা মিলনায়তনে ছত্রনেতাদের সাথে জরুরি এক বৈঠকে বসেন তারা।
এসময় মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সরিয়ে প্রশাসক নিয়োগে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের বিষয়ে উল্লেখ করে নাসরিন সুলতানা বলেন, সরকারি আদেশ রয়েছে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা রাঙামাটি পৌরসভায় একজন প্রশাসক নিয়োগ করব। অদ্য কর্ম দিবসেই এটা করা হবে। আপনারা শান্ত হোন। সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচলে আপনারা আমাদের কে সহযোগিতা করুন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সড়কের অবরোধ তুলে নেয় এবং প্রশাসক নিয়োগের অপেক্ষায় পৌরসভা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয় তারা।