আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার। এটি উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামীকাল আওয়ামী লীগের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই কমিটির চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন ওবায়দুল কাদের। তবে এখনো কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি।
এদিকে রাজপথে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলার সব প্রস্তুতি রেখেই সর্বাত্মক ভোটযুদ্ধে নামছে আওয়ামী লীগ। রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের আগামী দিনের সব কর্মসূচিই হবে নির্বাচন কেন্দ্রিক। পুণ্যভূমি সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনের প্রচার শুরু করবেন দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁও-এ অবস্থিত ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বক্তব্য রাখবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জানা গেছে, এবার দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। অনলাইনেও সেই সুযোগ থাকছে। জানা গেছে, ইতিমধ্যে ৩০০ আসনের দলীয় প্রার্থিতা বাছাইয়ের কাজ প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে দলটি। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থিতা ইতিমধ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকায় নামিয়ে এনেছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন হারান আওয়ামী লীগের ৫৬ জন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী। তার আগে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনেও বাদ পড়েন ছয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৯ জন সংসদ সদস্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের বিজয় আনতে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ঝুঁকি নিতে চায় না আওয়ামী লীগ। দফায় দফায় জরিপে যেসব প্রার্থীদের জনভিত্তি রয়েছে এবং নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদেরই এবার মনোনয়ন দেবে দলটি। ফলে বিগত দুই নির্বাচনের চেয়েও এবার বেশি সংখ্যক বর্তমান সংসদ সদস্যের এবার কপাল পুড়তে পারে, হারাতে পারেন দলীয় মনোনয়ন। আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে ১৪ উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। গতবারও ১৪টি ছিল।