• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে উপজাতি সন্ত্রাসী কতৃক মসজিদে হামলার প্রতিবাদে লংগদুতে বিক্ষোভ মিছিল খাগড়াছড়িতে সহিংস ঘটনায় নিহত ৩- আহত ৯ খাগড়াছড়ির দীঘিনালার লারমা স্কয়ার দুই পক্ষের বিরোধে বাজারে আগুন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বরকল উপজেলায় কমিটি ঘোষণা রামগড়ে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ভারতীয় পণ্যসহ আটক ২ লক্ষ্মীছড়ি কলেজে শিক্ষক পরিষদ গঠন সেনাবাহিনী ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে “এক টাকায় বাজার”  প্রায় ২ মাস বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে কেপিএম মিল গুইমারা উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠিত খাগড়াছড়িতে বই পড়া কর্মসূচি-২৪ সম্পন্ন রাঙামাটিতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি শেরপুরে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও প্রাণনাশের হুমকির বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

লামায় তামাক নিয়ন্ত্রণে সংবাদ সম্মেলন

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান (বান্দরবান) / ২০১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, (বান্দরবান)

“দেশব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন: তামাক কোম্পানি বেপরোয়া” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করেছে বেসরকারী এনজিও এনজেড একতা মহিলা সমিতি। সরকারের উচ্চ মহল গুলোকে স্মারকলিপি দিয়েছেন এন.জেড একতা মহিলা সমিতির কর্তৃপক্ষ। সহযোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এন.জেড ক্যাম্পাস হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারা বেগম। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন লামা প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, লামা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক কামুরুজ্জামান, তৈয়ব আলী, মোহাম্মদ ইলিয়াস সহ প্রমূখ।

একতা মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারা বেগম বলেন, সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। অথচ তামাক কোম্পানিগুলো তার উল্টা পথে চলছে। সরকারের জনস্বাস্থ্য রক্ষার এই মহৎ উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

এ অপচেষ্টার মূল উদ্দেশ্য, দেশের তরুণ সমাজকে ধূমপানের দিকে আকৃষ্ট করা, তারা আইন ভঙ্গ করে বিজ্ঞাপন করার পাশাপাশি, প্রণোদনা, রেস্টুরেন্টে ধূমপানের স্থান তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়ে দূত নিয়োগ করছে। প্রজন্মকে ধূমপায়ী বানিয়ে বাণিজ্য করাই তাদের উদ্দেশ্য। দেশে ব্যবসা করা ২টি বিদেশী সিগারেট কোম্পানি এই বেআইনী কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংক্রামক রোগের চাপে বিপর্যন্ত। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার এই তিন সংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ তামাকের ব্যবহার।

দেশের তিন কোটির বেশি মানুষ তামাক ব্যবহার করে। আর এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে তামাক ত্যাগ করাতে সরকার নানা উদ্যোগে নিয়েছে।অপরদিকে কোম্পানিগুলো আইন ভঙ্গ করে নতুন ধূমপায়ী তৈরি এবং দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিপর্যন্ত করতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করছে।

বাংলাদেশে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। ১৫ লক্ষাধিক মানুষ তামাক ব্যবহার করে।
জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ২০০৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট বিধি জারি করা হয়। এই আইনের অন্যতম লক্ষ্য দেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা এবং নতুনদের তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা-৫ এ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশের ৫টি সিটি কর্পোরেশন, ১৬টি জেলা ও ৩২টি পৌরসভায় পরিচালিত জরিপে ২২,৭২৩ টি বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

তামাক কোম্পানি কোনভাবেই রাষ্ট্রীয় আইনের ঊর্ধ্বে নয়। জনস্বাস্থ্যকে প্রধান্য দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তামাক কোম্পানিগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জন ত্বরান্বিত হবে,বলে মনে করেন বক্তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ