মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান (বান্দরবান)
বান্দরবান জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক (মহিলা) নির্বাচিত হয়েছেন লামা উপজেলার চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াছমিন। সোমাবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চ.দা.) মোঃ আবদুল মান্নান।
জানা যায়, এ বছরই প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াছমিন লামা উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক (মহিলা) নির্বাচিত হন। এবার তিনি উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে বান্দরবান জেলার মধ্যেও শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকের মুকুট অর্জন করলেন। সাবিনা ইয়াছমিন চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর থেকেই শিক্ষাসহ সকল বিষয়েই স্কুলটি সাফল্যর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
এ বিষয়ে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, পরিচালনা পর্ষদ এবং এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় এবং তাদের সুন্দর দিক নির্দেশনার কারণে ভালো শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে জেলাতেও ভালো ফলাফল করে আসছে। দীর্ঘ ২৮ বছরের পেশাগত জীবনে ৫ম বারের মতো বান্দরবান পার্বত্য জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এই প্রধান শিক্ষিকা।
তিনি আরো বলেন, এ অর্জন শুধু আমার ব্যক্তিগত নয়, বরং সমগ্র লামাবাসীর। আমি সর্বপ্রথম ২০০৬ সালে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিক এর স্বীকৃত পাই। এরপর ২০০৯ সাল, ২০১৫ সাল, ২০১৭ সালে এ সম্মান অর্জন করি। তার ধারাবাহিকতায় ২৪শে সেপ্টেম্বর ২৩ইং বান্দরবান জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ২৫শে সেপ্টেম্বর ২৩ইং ৫ম বারের মতো আমি সম্মাননা অর্জন করি।
জানা যায়, তিনি ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম লামার ইসলামপুর বি-আলম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সেখানে ২ বছর বিনা বেতনে পাঠদান করিয়ে নিজেকে শিক্ষক হিসেবে প্রস্তুত করেন।এরপর ১৯৯৫ সালে পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে সিপাহি আব্দুর রাজ্জাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি হয় এবং ২০০৭ সালে চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কয়েকবার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে সম্মাননা পাওয়ার কারণে ২০১৯ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিদেশ সফরে ফিলিপাইন যাওয়ার সুযোগ পান।