বান্দরবানের লামায় এক প্রবাসীর জায়গা রাতের আধাঁরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে তারকাঁটা বেড়া দিয়ে দখলের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দিবাগত গভীর রাতে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্যম হায়দারনাশী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মধ্যম হায়দারনাশী এলাকার বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী মোঃ মামুন এর স্ত্রী রেবেকা আক্তার (৩৫) এই বিষয়ে লামা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনার বিষয়ে অবহিত হয়ে লামা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আপেল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উভয়পক্ষ কে স্ব-স্ব অবস্থানে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকতে অনুরোধ করেন। এদিকে প্রতিপক্ষ পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জবরদখলকৃত জায়গার গাছ কাটা ও কলা গাছ লাগিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী রেবেকা আক্তার।
রেবেকা আক্তার বলেন, আমার স্বামী মোঃ মামুন ২৮৬ নং ফাসিয়াখালী মৌজা আর/১০২৩নং হোল্ডিং এর আন্দর ৪০ শতক জায়গার মালিক। সে দুবাই প্রবাসী। আমার বড় সন্তানের বয়স ৬ বছর ও ছোট সন্তানের বয়স ৪ বছর। আমার দুর্বলতার সুযোগে পেয়ে প্রতিপক্ষ আমার প্রতিবেশী মধ্যম হায়দারনাশী এলাকার ছৈয়দ আহাম্মদ এর ছেলে মোঃ শরীফ (৬০) গং বেশ কিছুদিন যাবৎ উক্ত জায়গা দখলের পায়তারা করে আসছে। বিষয়টি অনুমান করতে পেরে ও আইনী সহায়তা পেতে আমি বিবাদী মোঃ শরীফ, ফরিদুল আলম বাবলু, জোবাইদা বেগম ও মাওলানা জাহেদ এর বিরুদ্ধে গত ১০ সেপ্টেম্বর লামা থানায় জিডি নং ৩৬৭ রুজু করি। অবশেষে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে মোঃ শরীফ গং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে রাতের আধাঁরে আমার স্বামীর জায়গা হতে প্রায় ২০ শতক জায়গা তারকাঁটা বেড়া দিয়ে ঘেরাও করে ফেলে। বিষয়টি আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) লামা ও লামা থানাকে অবহিত করি।
তিনি আরো বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় প্রতিপক্ষরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সহকারে আমার সৃজিত ফলজ ও বনজ বাগান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০ হাজার টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায়। যা আমি গত ১০ সেপ্টেম্বর লামা থানায় করা জিডিতে উল্লেখ করেছি। তখন আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে মোঃ শরীফ গং আমাকে মারধর করে এবং ধারালো দা, ছুরি দেখিয়ে হত্যা করার হুমকি দেয়। তারা বলে আমার ঘর বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে বসত বাড়িতে থেকে উচ্ছেদ করবে। আহত অবস্থায় আমার স্বজনরা আমাকে উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
এবিষয়ে বিবাদী মোঃ শরীফ এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তার মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আপেল মাহমুদ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকতে বলা হয়েছে। মোঃ শরীফ আদেশ অমান্য করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রী রেবেকা আক্তারের করা সাধারণ ডায়েরিটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করতে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।