মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান:
চলতি বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে প্রবল ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলার ‘ফাইতং-লামা’ সড়ক। ১৯.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই সড়কের ৯টি স্থানে বড় ধরনের পাহাড়ধস সহ আরো ১০টির অধিক স্থানে ভাঙ্গনের দেখা দিয়েছে। এলজিইডি লামার বাস্তবায়নে নির্মিত এই সড়কটি লামা উপজেলার সাথে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের যাওয়ার নতুন যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
এই সড়কটির কারণে লামা থেকে চকরিয়ার দূরত্ব কমেছে ১০.৫ কিলোমিটার। সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ও পাহাড়ধসে যখন লামা-চকরিয়া প্রধান সড়ক অচল হয়ে পড়ে তখন এই সড়কটি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেছে লামা ও আলীকদম উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ। দ্রুত মেরামত ও ভাঙ্গনের স্থানে সুরক্ষা গাইডওয়াল না দিলে সড়কটি ভেঙ্গে ফাইতং ইউনিয়নের সাথে লামা উপজেলা সদরের আন্তঃযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সড়কটির বদরটিলা, মিনঝিরি, ব্রিকফিল্ড ও রাইম্যাখোলা এলাকায় বড় ধরনের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। কয়েকটি স্থানে সড়কের কিছু অংশ সহ ধসে গেছে। যদিও এলজিইডি লামা সাময়িক ধস ঠেকাতে বল্লী প্যালাসাইডিং করছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন ফাইতং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি থোয়াইচানু মার্মা।
ফাইতং রাইম্যাখোলা এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আলম ও নুরুল ইসলাম সহ অনেকে জানান, ‘এই সড়কটি হওয়ায় ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে আমরা লামা উপজেলা সদরে যেতে পারি। সময় ও খরচ দুইটিই কমেছে। ভাঙ্গনরোধ করে সড়কটি সচল রাখতে অনুরোধ করছি। এই সড়কের কারণে ফাইতং ইউনিয়নের কয়েক হাজার পাহাড়ি জমিতে এখন ফসলের আবাদ হচ্ছে। এখান থেকে উৎপন্ন সবজি লামা ও পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার চাহিদা মিঠিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক আলাপকালে জানান, ‘প্রবলবৃষ্টিতে লামা-ফাইতং সড়কে পাহাড় ধসে ৬/৭টি স্থানে মাটি পড়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রæত মাটি সরিয়ে যোগাযোগ সচল করা হয়েছে। ভাঙ্গনের স্থান মেরামত জরুরি।’
এলজিইডি লামা উপজেলা প্রকৌশলী আবু হানিফ বলেন, ‘আপাতত বল্লী প্যালাসাইডিং এর মাধ্যমে ভাঙ্গন ঠেকানো হচ্ছে। স্থায়ী গাইডওয়াল নির্মাণে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।’
পার্বত্যকন্ঠ নিঊজ/রনি