মো.আলমগীর হোসেন ,লংগদু(রাঙ্গামাটি)
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় রাজনগর ব্যাটালিয়ন( বিজিবি)’র অভিযানে বিপুল পরিমাণ সেগুন ও গামারী গোল কাঠ জব্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি দুটি পৃথক অভিযানে রাজনগর ব্যাটালিয়ন (৩৭ বিজিবি) কর্তৃক ৩২,৫১,৩৬০/- (বত্রিশ লক্ষ একান্ন হাজার তিনশত ষাট) টাকার অবৈধ কাঠ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার( ২৮ আগস্ট) বিজিবির কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, শিবেরআগা এবং পোকশাপাড়া বাজার লঞ্চঘাট নামক স্থানে বন থেকে কেটে আনা বেশ কিছু অবৈধ কাঠ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাঙ্গামাটি শহরে নিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকায় তুলা হচ্ছে। খবর পেয়ে রাজনগর ব্যাটালিয়ন (৩৭বিজিবি) থেকে একটি টহল দল কাঠ উদ্ধারের জন্য দ্রুত ঘটনাস্থলে গমণ করে। বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে কাঠ চোরাকারবারীরা কাঠ রেখে ঘটনাস্থল হতে দ্রুত পালিয়ে যায়। টহল দল উক্ত স্থান হতে পরিত্যাক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ সেগুন ও গামারী কাঠ জব্দ করে যার আনুমানিক মূল্য ১,৫১,৩৬০/- (এক লক্ষ একান্ন হাজার তিনশত ষাট) টাকা। বর্ণিত কাঠসমূহ রাঙ্গীপাড়া ফরেস্ট অফিসে হস্তান্তর ও মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গত মঙ্গলবার( ২৯ আগস্ট) আবারো গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, শিলকাটাছড়া নামক এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ চোরাচালানের উদ্দেশ্যে নৌকায় তোলা হচ্ছে। খবর পেয়ে জোন কমান্ডার লে: কর্নেল শাহ্ মো: শাকিল আলম, এসপিপি, অর্ডন্যান্স এর নির্দেশনায় ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাষ্টার, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, বিজিবিএমএস এর নেতৃত্বে রাজনগর ব্যাটালিয়ন (৩৭ বিজিবি) হতে একটি বিশেষ টহল দল ঘটনাস্থলে গমণ করে। টহল দল ঘটনাস্থলে পৌছে দেখতে পায়, চোরাকারবারীরা অধিকাংশ কাঠ নৌকায় তুলেছে এবং কিছু কাঠ ডাঙ্গায় রয়েছে। বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। টহল দল উক্ত স্থান হতে বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ এবং কাঠ বহনকারী ০১টি বড় নৌকা জব্দ করে।
পরবর্তীতে টহল দল আটককৃত কাঠগুলো নৌকায় বোঝাই করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে আসে। উক্ত অভিযানে বিজিবি কর্তৃক সর্বমোট ৩১,০০,০০০ (একত্রিশ লক্ষ) টাকার চোরাচালানী কাঠ এবং নৌকা জব্দ করে।
পৃথক দুইটি অভিযানে মোট ৩২,৫১,৩৬০/- (বত্রিশ লক্ষ একান্ন হাজার তিনশত ষাট) টাকার অবৈধ কাঠ উদ্ধার করা হয়।
বর্ণিত কাঠ এবং নৌকা পাবলাখালী ফরেস্ট অফিসে হস্তান্তর ও মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ প্রসংগে রাজনগর জোন কমান্ডার জানান, অবৈধ কাঠ চোরাচালানের বিরুদ্ধে চলমান আভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরো জোরদার করা হবে।