৪৭তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্মরণ করছে জাতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে সকাল থেকেই শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
আজ রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আক্তারুজ্জামান শ্রদ্ধা জানান কবির সমাধিতে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আক্তারুজ্জামান বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাম্যের চেতনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ছোঁয়া দেশের সব মানুষ পাবে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাজ হল দ্রোহ, সাম্য ও অসাম্প্রদায়িকতার কবি কাজী নজরুলকে মননে ধারণ করা। নজরুলকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। সামগ্রিক কল্যাণে আমাদের চলার পথে পাথেয় হিসেবে রাখতে হবে।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নেতারা প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। পরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালি জীবনে সব সময়ই প্রাসঙ্গিক। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যে বিস্ফোরণ তিনি ঘটিয়েছেন সে চেতনাকে ধারণ করে উন্নয়নের পথের বাধা সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উৎপাটন করা হবে।
নিপীড়িত মানুষ যতদিন থাকবে ততদিন সাম্যের কবি, মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের উজ্জীবিত করে যাবেন বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
কবির নাতনি খিল খিল কাজী বলেন, কাজী নজরুলের সব রচনা ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, জোর দাবি জানাই।
এছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাবির বিভিন্ন হল, বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও কবির কবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
কবির জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (১৮৯৯ সালের ২৪ মে) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।