বান্দরবানে টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রুমা ও থানচি উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ পুনস্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ। বিধ্বস্ত সড়কগুলো পরিদর্শন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আমিন উল্লাহ নূরী। শনিবার সকালে বান্দরবান রুমা সড়কের ২৫ কিলোমিটার অংশ ও থানচি সড়কের পোড়া বাংলা এলাকায় বিধ্বস্তের সড়কগুলো পরিদর্শন করেছেন সচিব।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা যাবে বলে সচিব জানিয়েছেন। এ সময় তার সাথে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এর অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদুর রহমান, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মইনুল হাসান, চট্টগ্রামে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জাহিদ হোসেন, রাঙ্গামাটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার, বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোসলে উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তৃবৃন্দ ধসে যাওয়ার সড়কের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত কাজ সম্পাদনের জন্য নির্দেশ দেন। পরিদর্শন শেষ সচিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বান্দরবানসহ আশেপাশের এলাকায় এবারের টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রুমা থানচি সড়ক যোগাযোগ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই চালু হবে। ধসে যাওয়া স্থানগুলোতে মাটি কেটে নতুন সড়ক তৈরি করে সড়ক যোগাযোগ চালু করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে বান্দরবান থানচি ও বান্দরবান রুমা সড়কের কমপক্ষে ২০টি স্থানে ছোট বড় পাহাড় ধ্বসে পড়েছে। এসব জায়গায় নতুনভাবে সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। রুমা সড়কের ২৫ কিলোমিটার অংশ ও থানচি সড়কের পোড়া বাংলা এলাকায় সড়ক এমনভাবে ধসে গেছে যে সড়কের অস্তিত্বই নেই। এসো স্থানে নতুন করে পাহাড় কেটে মাটি সরিয়ে নতুন সড়ক তৈরি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সড়কের সাথে থাকা বিদ্যুৎ সঞ্চালক লাইনের খুটি ধসে পড়ায় দীর্ঘদিন ধরে দুটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করতে কাজ করে যাচ্ছে বান্দরবানের বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ।
উল্লেখ্য গত ৭ আগষ্ঠ থেকে টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের সাথে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।