ঢাকার কেরানীগঞ্জ কালিন্দীইউনিয়ন এলাকার একটি টিন শেডের ক্যামিক্যাল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনসহ মোট চারজন নিহত হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কেরানীগঞ্জের গদারবাগ এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলেই নিহতরা হলো: মিনা বেগম (২৩), মোসা. ইশা (১৫) ও দেড় বছরের শিশু রোজা মনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. কাজল মিয়া।
তিনি জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে কেরানীগঞ্জের গদারবাগ এলাকার ওই কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর কারখানার ভেতর থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনে সূত্রপাত হয়েছে। তবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।
এই ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ৩ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়। দগ্ধরা হলেন,মোহাম্মদ সাঈদ (২৫),মোঃ সোহাগ (২২), ও জেসমিন আক্তার(৫০)। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জেসমিন আক্তার।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে দগ্ধ অবস্থায় তিন জনকে জরুরি বিভাগে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিন আক্তার মারা যান। গুরুতর দগ্ধ অন্য দুজনকে ভর্তি দেয়া হয়েছে।
নিহত জেসমিনের ভাই চান মিয়া জানান, আগুনের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই জেসমিনের মেয়ে মোসাম্মৎ ইশা মারা যায়। আর মা জেসমিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।স্বামী মিলন সৌদি প্রবাসী । জেসমিনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকায়। বর্তমানে কেরানীগঞ্জের গজারবাগ কালিন্দী এলাকায় থাকতো।