মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম:মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান:
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার দুর্গম দোছড়ি এলাকায় আটকে পড়া ২৫ পর্যটককে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এদের মধ্যে মোহাম্মদ আতাহার ইসরাক রাফি নামের এক পর্যটক ঝর্ণায় পড়ে মারা গেছেন। আলীকদম থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) খন্দকার তবিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে পর্যটক মোহাম্মদ আতাহার ইসরাক রাফি মৃত্যুবরণ করেন। অসাবধানতা বশত পাথরের ঝর্ণা হতে নিচে পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে বলে জানা যায়। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৫ জনের ওই দলটির মধ্যে ২১ জন ঢাকার পর্যটক ও চারজন স্থানীয় গাইড ছিল। পাঁচ দিন আগে তারা ঢাকা থেকে ভ্রমণ শুরু করেন। ১০ আগস্ট তারা আলীকদমে যান। পরে ১১ তারিখ আলীকদম উপজেলার দুর্গম দোছড়ি এলাকার সাইংপ্রা ঝর্ণা দেখতে যান। সেখানেই আটকে পড়েন তারা। এ অবস্থায় সেখানে অবস্থানকালে ঝর্ণার নিচে পাথর থেকে পড়ে শনিবার মারা যান মোহাম্মদ আতাহার ইসরাক রাফি নামের এক পর্যটক।
রবিবার (১৩ আগষ্ট) সকালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৪নং কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাত পুং ম্রো জানান, ঘটনাস্থল অত্যন্ত দুর্গম এলাকা। পাশাপাশি রাত বেশি হওয়ায় সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিছিন্ন থাকার কারণে উদ্ধারকারী দল রাতে অভিযান পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়। পরে সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে স্থানীয় একটি উদ্ধারকারী দল সেখানে গেলেও তারা ব্যর্থ হয়।
উদ্ধার পর্যটকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ব্যাপক পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণের কারণে দলটি সেখানে আটকে পড়ে। ঝর্ণায় পড়ে মারা যায় রাফি। স্থানীয়রা আলীকদম প্রশাসনকে জানানোর পর সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের উদ্ধারকারী দল সেখানে গেছে। তাদের উদ্ধার করে আলীকদম সদরে নিয়ে আসে।
আলীকদম থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) খন্দকার তবিদুর রহমান জানিয়েছেন, নিহতের লাশ আইনী প্রক্রিয়া শেষে বাড়িতে পাঠানোর কাজ চলছে। বাকিরা সবাই নিরাপদে আছেন।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/রনি