• রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মাদকমুক্ত ও মানবিক সমাজ গড়তে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম: –  এম, মাইমুনুল ইসলাম মামুন একুশে স্মৃতি পদক -২০২৫ পেলেন কাপ্তাই উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জনাব লোকমান আহমেদ  রাঙামাটিতে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের গুণগতমান নিশ্চিত ও তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ ২৪এর গণঅভ্যুত্থানে আহতেদের চিকিৎসা করবে সরকার –জেলা প্রশাসক আ.লীগের সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও দেশে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানিকছড়িতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল আল হেরা বিদ্যা নিকেতন নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা অনগ্রসর জনপদে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার বান্দরবান ৩০০ নম্বর সংসদীয় আসনে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে প্রার্থী ঘোষণা পাহাড়ের বিপথগামীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আহ্বান উপদেষ্টা সাখাওয়াতের মহালছড়িতে ক্যারাম বোড প্রতিযোগিতা ২০২৫ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বান্দরবানে ছাত্রশিবির এর ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত, রুমায় সাচিংপ্রু জেরী ও জাবেদ রেজা’কে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল

মাকে দেখেছি কখনও হতাশ হতেন না : প্রধানমন্ত্রী

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ২২৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি জানি না আব্বা দুইটা বছর একটানা জেলের বাইরে থেকেছিলেন কি না। কিন্তু মাকে দেখেছি কখনও হতাশ হতেন না। সবসময় তিনি ঘর-সংসারসহ সবকিছু সামাল দিতেন।’

আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা পদক প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি আরো বলেন, আমার মা সবসময় বাবার পাশে থাকতেন। তিনি বাবাকে বলতেন, ‌‌‍‘রাজনীতি করো আপত্তি নেই, কিন্তু পড়াশোনা করো’। আমার দাদাও আব্বাকে বলেছিলেন, ‘যে কাজই করো পড়াশোনাটা করতে হবে’।

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমার মায়ের মুখে কোনো দিন অভাব-অনটনের কথা শুনিনি। তিনি একটা সাহস নিয়ে চলতেন।’ তিনি বলেন, দলের ভেতরে সমস্যা দেখা দেয়। মওলানা ভাসানী দল ছেড়ে চলে যান।

তখন দলের দায়িত্ব নেওয়া জন্য আমার বাবা মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। আম্মা এ ব্যাপারে কোনো দিন অভিযোগ-অনুযোগ করেননি। তিনি হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। সব সময় স্বামীর পাশে থাকতেন। চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জীবনে মাকে কখনো ভেঙে পড়তে দেখিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মায়ের অদ্ভুত স্মরণশক্তি ছিল। তিনি যে কথা একবার শুনতেন বা জানতেন তা সবসময় মনে রাখতেন। আমরা মাকে বলতাম, জীবন্ত টেপরেকর্ডার। সবসময় আমাদের বাড়ি গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকত। গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে আমার মা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বলতেন এবং নির্দেশনা দিতেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তারা আমাদের বাড়িতে আক্রমণ করলো, বাবাকে মেরে ফেললো। মা বের হয়ে আসলেন। তারা বললেন, আপনি আমাদের সঙ্গে চলেন। মা বললেন, তোমরা যেহেতু তাকে ফেলেছো। আমাকেও গুলি করে মেরে ফেলো। আমি কোথাও যাবো না। জীবনের পাশাপাশি মরণেও আমার বাবার সাথী হয়ে চলে গেছেন মা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ