• শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ১০:২৫ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
মহালছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির মানবিক উদ্দ্যোগ, ঈদ উপকরণ হিসেবে গরুর মাংস বিতরণ ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে পানছড়িতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে মহাপরিচালকের উপহার সামগ্রী বিতরণ। মহালছড়িতে পালিত হয়েছে বিশ্ব তামাক দিবস ২০২৫ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত: পানছড়িতে সেনাবাহিনীর ঈদ উপহার বিতরণ পানছড়িতে দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানে ছাগল ও শুকর বিতরণ দৌলতদিয়া পোড়াভিটা থেকে মাদক সেবী ও মাদক কারবারি আটক নানিয়ারচরে বিআরডিবির দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ গোয়ালন্দে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালিত খাগড়াছড়িতে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফ (চাউল) বিতরণ মহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা মানিকছড়িতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত পাহাড়ের পাদদেশে থাকা পরিবারকে সরে যাওয়ার নির্দেশ লামায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৬০টি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম প্রয়াণ দিবস আজ

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ৪০১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩

আজ ২২শে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম প্রয়াণ দিবস। মহাকালের চেনাপথ ধরে প্রতিবছর বাইশে শ্রাবণ আসে।

বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আজ রোববার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও বেসরকারি টেলিভিশনগুলো এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের শেষ দিনগুলোতে কখনো তিনি ছিলেন শয্যাশায়ী, কখনো মন্দের ভালো। শেষের দিকে ১৯৪১ সালের ২৫ জুলাই, শান্তিনিকেতনের আশ্রমে বালক-বালিকাদের ভোরের সংগীত অর্ঘ্য তিনি গ্রহণ করেন তাঁর উদয়ন গৃহের পূবের জানলার কাছে বসে। উদয়নের প্রবেশদ্বার থেকে ছেলেমেয়েরা গেয়ে উঠে কবিরই লেখা ‘এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার, আজি প্রাতে সূর্য ওঠা সফল হলো আজ।’

রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় ‘রবীন্দ্রজীবন কথা’য় কবির মৃত্যু নিয়ে লেখেন, ‘শান্তিনিকেতনে কবি এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেহ আর চলছিল না, চিকিৎসা ও সেবারও ত্রুটি নেই। অবশেষে ডাক্তাররা পরামর্শ করে ঠিক করলেন, অপারেশন ছাড়া উপায় নেই। ৯ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) শান্তি নিকেতন থেকে কবিকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হলো। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে অনেক বছরের স্মৃতি জড়িত কবি কি বুঝতে পেরেছিলেন, এই তাঁর শেষ যাত্রা? যাবার সময় চোখে রুমাল দিচ্ছেন দেখা গেছে।’

৩০ জুলাই জোড়াসাঁকোর বাড়িতে কবির শরীরে অস্ত্রোপাচার হয়। তার কিছু পূর্বে শেষ কবিতা রচনা করেন—‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি, বিচিত্র ছলনাজালে হে ছলনাময়ী।’

রবীন্দ্র জীবনী থেকে জানা যায়, মৃত্যুর মাত্র সাত দিন আগে পর্যন্তও কবি সৃষ্টিশীল ছিলেন। জোড়াসাঁকোর রোগশয্যায় শুয়ে শুয়ে তিনি বলতেন, আর রানি চন্দ তা লিখে নিতেন। কবি বলে গেছেন, ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন কবিতাটি বলতে বলতে। দিনটা ছিল কবির শেষ বিদায়ের দিন কয়েক আগে চৌদ্দই শ্রাবণ। রানি চন্দ সেদিন সূত্রধরের মতো লিখেও নেন রবীন্দ্রনাথের উবাচ কবিতাটি—‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি।’

চিকিৎসকেরা কবির অস্ত্রোপাচার করলেন, কিন্তু তা নিস্ফল হয়। অবস্থা দ্রুত মন্দের দিকে যেতে লাগল। তিনি জ্ঞান হারালেন। শেষ নিশ্বাস পড়ল রাখীপূর্ণিমার দিনে, বাংলা ১৩৪৮ সালের ২২শে শ্রাবণ। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা বেজে ১০ মিনিট, অমৃত আলোকের নতুন দেশে চলে গেলেন কবি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ