পঞ্চগড়ে একটি ব্যাংকে দায়িত্বরত অবস্থায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ফিরোজ আহমেদ (২৫) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে নিজের বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই কনস্টেবল।
গতকাল বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ২ টার দিকে জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।
ফিরোজ আহমেদ দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার পলি মির্জাপুর আবতাবগঞ্জ এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। চাকরির জন্য তিনি পঞ্চগড় শহরে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, গভীর রাতে অন্য দিনের মতো পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন ফিরোজ। একপর্যায়ে নিজের বন্দুক দিয়ে মাথায় গুলি করেন তিনি। গুলির শব্দ পেয়ে অন্য সহকর্মীরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুলিটি তার থুতনির নিচ থেকে মাথার উপর দিয়ে বেড়িয়ে গেছে। এর আগে স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে তাঁকে ঝগড়া করতে দেখেন অন্য পুলিশ সদস্যরা।
আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম বলেন, ওই পুলিশ সদস্যকে হাসাপাতালে আনার আগেই মারা যান। তার থুতনির নিচে ও মাথার উপরে গর্তসহ মারাত্মক জখম হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ওই পুলিশ সদস্য নিজেই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।