• শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
আ.লীগ আবার ফিরে আসবে’ মন্তব্যে শাস্তির মুখে ইউএনও মহালছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  ক্যায়াংঘাট ইউনিয়ন বিএনপির ৭১ বিশিষ্ট কমিটি গঠিত দূর্গাপুরে বই পড়ে পুরস্কার পেল ১২ শিক্ষার্থী দূর্গাপুরে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে জনসচেতনতামূলক সভা দুর্নীতির সাম্রাজ্যে বসে প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আবদুর রশিদ! রোয়াংছড়ি থানায় উপস্থিত সুশীল সমাজের সাথে  মতবিনিময়- পুলিশ সুপার মুবাছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও হস্তান্তর সম্পন্ন সিন্দুকছড়ি জোন কর্তৃক মাসিক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত কাপ্তাইয়ে অর্থনৈতিক শুমারিতে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের তথ্য প্রদান লামায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মিলনমেলা  মাইসছড়িতে মায়ের চোঁখের সামনেই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

নাগরিকের তথ্যফাঁস তদন্ত প্রতিবেদন জমা, জানা যায়নি দায়ীদের নাম

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ১৪৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩

আগারগাঁওয়ে তথ্য ফাঁস বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট
আগারগাঁওয়ে তথ্য ফাঁস বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইটে ২২ কোটি নাগরিকের তথ্য জমা ছিল। তবে কতজন নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে তা জানাতে পারেনি তথ্য ফাঁসের ঘটনায় গঠিত আট সদস্যের তদন্ত কমিটি। এছাড়া প্রতিবদনে জানানো হয়নি এ ঘটনায় দায়ী কর্মকর্তাদের নাম।

সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ে কমিটির কাছ থেকে প্রতিবেদন পেয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এসময় তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে কাউকে দায়ী করা হয়নি। এখানে কাউকে দায়ী করা বা দোষারোপ করা উদ্দেশ্য ছিল না। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না হয়, যেন তথ্যের আদান প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে ওঠে সে কারণেই এমন করা হয়েছে। তাদের একজন মাত্র প্রোগ্রামার। তারপক্ষে সবকিছু বুঝে নেওয়াও কঠিন ছিল। তবে পুরো প্রতিবেদন আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী এবং সচিব বরাবর পাঠিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, কারিগরি দুর্বলতা ও কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন লোকের অভাবে তথ্য ফাঁস হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে। এটি হয়েছে মূলত ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের কারিগরি দুর্বলতার কারণে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলোতেও তদারকির অভাব পেয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। আমরা সেগুলো নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষায় কাজ করছি। একইসঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবেও কিছু উদ্যোগ নিয়েছি এগুলো নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন ওয়েবসাইটে ২২ কোটি নাগরিকের তথ্য ছিল। তবে কতজনের তথ্য ফাঁস হয়েছে তা বের করতে পারেনি তদন্ত কমিটি। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তা বের করা সম্ভবও নয়।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া হবে। এছাড়াও ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর অনেকগুলোর ঝুঁকি সমাধান করতে না পারায় তাদের সাথে আলোচনা করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, জুলাইয়ের শুরুতে যুক্তরাষ্টের প্রযুক্তিভিক্তিক সংবাদ মাধ্যম টেকক্রাঞ্চ বাংলাদেশের নাগরিদের তথ্য ফাঁসের কথা জানায়। তবে সরকারের কোন ওয়েবসাইট থেকে ফাঁস হয়েছে তারা জানায়নি। এর কিছুদিন পর এক অনুষ্ঠানে তথ্য যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এর কারণ জানতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ