লামার রূপসীপাড়া ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড উথাই পাড়ায় ইমরান বিশ্বাস নামে এক কৃষকের ১৯ বছর বয়সী বাগানের ৪২টি সেগুন গাছ কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষ লোকজন। এই বিষয়ে প্রতিবাদ করায় ইমরানের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ইমরান বিশ্বাস বলেন, গাছ কেটে তার প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি করেছে এবং তিনি আইনী প্রতিকারের জন্য বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করবেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ বাসেদ হোসেন বলেন, শুনার পরে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। বেশ কিছু সেগুন গাছ কাটা দেখি। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা উচ্ছৃঙ্খল ও ডাকলে না আসতে পারে, তাই ইমরান বিশ্বাসকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
ইমরান বিশ্বাস স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, গত বুধবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় বাড়ির পশ্চিম পাশে পাহাড়ে গাছ কাটার শব্দ শুনে দৌড়ে বাহির হই। আমি সবার আগে পাহাড়ে যাই। গিয়ে দেখি আমার প্রতিবেশী মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৫৫) ও তার ছেলে মোঃ কালু আরো লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে। আমি বাঁধা দিলে তারা আমাকে মারধর করে। আমি চিৎকার দিলে স্বামী, ছেলে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে। অন্ধকার থাকায় সিরাজ ও তার ছেলে কালু ছাড়া বাকীদের আমি চিনতে পারিনাই।
ইমরান বিশ্বাস বলেন, সিরাজুল ইসলামের সাথে আমার জমি নিয়ে বিরোধ আছে। সে ১৯৯৬ সালে ২৯৪নং দরদরী মৌজার আর/৯৩০ হোল্ডিং এর ৪ একর ৮০ শতক জায়গা আমার কাছে বিক্রি করে। ২৭ বছর পরে এসে সেই জায়গা বিক্রি করেনি বলে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। সেই ক্ষোভে আমার পিতা আক্তার উদ্দিন বিশ্বাসের নামীয় জায়গায় সৃজিত ১৯ বয়সী বাগানের ৪২টি সেগুন গাছ কেটে ফেলে আমার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শহীদুল ইসলাম বাচ্চু- ১৯৯৬ সালে সিরাজুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী ইমরান বিশ্বাসের কাছে ৪ একর ৮০ শতক জায়গা বিক্রি করে। ২৭ বছর পরে এসে সিরাজ অস্বীকার করছে। জায়গা জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ আছে। সেই বিরোধের জের ধরে শত্রুতা বশত এই গাছ গুলো কেটে ফেলে সিরাজ।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মোঃ আলামিন বলেন, শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এইভাবে গাছ কাটা ঠিক হয়নি।সিরাজ কারো কথা শুনেনা।
এই বিষয়ে জানতে অনেকবার সিরাজুল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন করলে মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।