• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মহালছড়িতে ক্যারাম বোড প্রতিযোগিতা ২০২৫ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বান্দরবানে ছাত্রশিবির এর ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত, রুমায় সাচিংপ্রু জেরী ও জাবেদ রেজা’কে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল মহালছড়ি থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১ কর্মী আটক আওয়ামীলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মহালছড়ি ও মাইসছড়ি বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল মহালছড়িতে সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে শীতার্তদের কম্বল বিতরণ রংপুরে ২য় বারের মতো আয়োজিত হয়ে গেলো ” কিরন পেজেন্টস এন,ইউ,এস,ডি,এফ দক্ষতা উন্নয়ন সম্মেলন ২০২৫ বান্দরবানে নানান আয়োজন চলছে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা ফের স্থলমাইন বিস্ফোরণে নাইক্ষংছড়িতে এক কিশোরের পা উড়ে গেল শেষ হলো বান্দরবান-র  জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মহালছড়িতে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক উপহার প্রদান উপজেলা বিএনপির লামায় নবাগত ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

ডেঙ্গুতে মৃত্যু শিশু আহনাফের মায়ের কান্না থামছে না কিছুতেই

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ১৭৫ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩

ফুটফুটে শিশু আব্রার হোসেন আহনাফ (৭)
স্থানীয় মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো। গত ৪-৫ দিন আগে তার শরীরে ডেঙ্গু পজেটিভ হওয়ায় চান্দিঘাটের শিশু হাসপাতলে ভর্তি করা হয় তাকে। চারদিন হাসপাতালে থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলে খাজে দেওয়ান প্রথম লেনের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। বৃহস্পতিবার হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একমাত্র ছেলের অসুস্থতায় মা রুপা দিশেহারা হয়ে বিকেলের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে শিশুকে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষার নিরীক্ষা শেষে বিকেলের দিকে শিশু আহনাফকে মৃত ঘোষণা করেন।

কিন্তু শিশু আহনাফের মাকে কিছুতেই বোঝানো যাচ্ছিল না যে, তার সন্তান আর এ পৃথিবীতে নেই। তিনি বারবার আর্তনাদ করে বলছিলেন কিছুক্ষণ আগেই তো ও আমার সঙ্গে কথা বলল ,এখন কথা বলে না কেন ? ডাক্তার ওকে একটু কথা বলায়ে দেন। আমার আহনাফ এভাবে আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না। তার কান্না জড়িত প্রশ্নের কোনো উত্তর ছিল না ডাক্তার সহ উপস্থিত সকলের কাছে।

এরপর আজ দুপুরের দিকে সরজমিনে এই প্রতিবেদক যান আহনাফদের বাসায়। সেখানে গিয়ে দেখা মিলল এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের।আহনাফের পোষা তিনটি লাভ বার্ড কিচিরমিচির বন্ধ করে নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে। যেন মনিব হারানোর বেদনায় তারাও শোকাহত।তার স্কুলে যাওয়ার ব্যগটি পড়ে আছে ঘরে। নেই শুধু শিশু আহনাফ। শিশু আহনাফের মা এবং দাদি এ ঘর থেকে সে ঘরে হাঁটাহাঁটি করছিলেন আর কেঁদে কেঁদে বলছিলেন, আহনাফরে তুই কোথায় গেলি? তুই কেন গেলি ? ফিরে আয় -বাবা ফিরে আয়। মা বাবার একমাত্র সন্তান ছিল শিশু আহনাফ। সন্তান হারানোর বেদনায় পুরো পরিবারটি যেন নিথর নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। পুরো বাড়িটি যে শিশু মাতিয়ে রাখতেন। সেটি যেন আজ নির্জন স্তব্ধ বসত ঘর।

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ