• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
গুইমারা উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠিত খাগড়াছড়িতে বই পড়া কর্মসূচি-২৪ সম্পন্ন রাঙামাটিতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি শেরপুরে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও প্রাণনাশের হুমকির বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে যুবক নিহত-পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি এলাকাবাসীর গোয়ালন্দে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন  বাঙ্গালহালিয়াতে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে বিশ্বকর্মা পূজা সম্পন্ন রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন  পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ৮ টফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা ও মানবিক সহায়তা বিতরণ ঢাকা মহানগরে পিসিসিপি আংশিক কমিটির আত্মপ্রকাশ দুই মাসের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী

ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা পাঠানো নিয়ে অস্বস্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা

মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার / ১৭১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩

ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা সরবরাহের ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি মিত্র দেশ অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গত শুক্রবার ইউক্রেনে বিতর্কিত ক্লাস্টার বোমা পাঠনোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এটি ‘খুব ভালো সিদ্ধান্ত’।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অস্বস্তি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও স্পেনসহ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা। তারা সবাই বলেছে, তারা ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের বিরোধী।

বিশ্বের শতাধিক দেশ ইতিমধ্যে ক্লাস্টার বোমা নিষিদ্ধ করেছে। কারণ এ ধরণের অস্ত্র বেসামরিক মানুষদের জন্য বিপদ ডেকে আনে। এটি এমন এক ধরনের ছোট ছোট বোমা যা এক সঙ্গে কোনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ফেলে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা যায।

এই বোমাগুলো অনেক সময় অবিস্ফোরিত অবস্থায় বছরের পর বছর মাটিতে পড়ে থাকতে পারে এবং পরে কোনো এক সময় ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহাণি ঘটাতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শুক্রবার সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাইডেনের এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও ক্লাস্টার বোমা বেসামারিক মানুষের জীবনের জন্য হুমকি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ক্লাস্টার অস্ত্র উৎপাদন ও নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১২৩টি দেশের একটি হচ্ছে যুক্তরাজ্য। আমরা কখনোই এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের পক্ষে নই।

স্পেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্গারিটা রোবেলস বলেছেন, ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা না পাঠানোর ব্যপারে তার দেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

কানাডা সরকার বলেছে, তারা শিশুদের ওপর এ ধরণের বোমার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ কখনো কখনো বহু বছর এই বোমাগুলো অবিস্ফোরিত থেকে যায়। কানাডা সরকার ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্রের কনভেনশন সম্পুর্ণ মেনে চলে বলেও জানিয়েছ দেশটি।

ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কো ও কিয়েভ উভয়েই ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে। কারণ রাশিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।

ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্রের কনভেনশনে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশ জার্মানি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা কখনোই ইউক্রেনকে এ ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করবে না।

এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ক্লাস্টার বোমাগুলো শুধু শত্রুর প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙ্গে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হবে, শহরাঞ্চলে ব্যবহার করা হবে না।

পার্বত্যকন্ঠ নিউজ এম এস 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ