• শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ভাষা শহীদদের প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র শ্রদ্ধাঞ্জলি বান্দরবানে ‘আরুং আনৈই’ ম্রো ছাত্রাবাসে পিসিসিপি’র শিক্ষা সহায়তা বিতরণ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন মহালছড়ি থানা পুলিশের মোংলায় ১৭ বছর পর শহিদ বেদিতে পৃথক পৃথক পুষ্পস্তবক অর্পণ বিএনপির বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে – সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ গোয়ালন্দে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ কক্সবাজার ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যাটস-এ শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ উদযাপন খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ২২তম মহান আচারিয়া (গুরু) পূজা অনুষ্ঠিত একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ বাঘাইছড়িতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত শহীদ দিবস উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সাংবাদিক ইউসুফ মিয়ার পুত্রের সুস্থতা কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের দোয়া কামনা

সাইফুর রহমান পারভেজ,গোয়ালন্দ(রাজবাড়ী) প্রতিনিধি: / ৮৪৪ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০

রাজবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এবং মোহনা টেলিভিশন ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ ইউসুফ মিয়ার শিশু পুত্র বেন-ইয়ামিন রাফি (৩) গুরুতর অসুস্থ।

তার মাথার বাম পাশে কানের উপরে পানি জমে থাকা এবং ২টি টিউমার শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে সে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার খ্যাতনামা এভার কেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছে। রাফি’র সুস্থতা কামনায় সাংবাদিক ইউসুফ মিয়া ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের দোয়া কামনা করা হয়েছে।
গতকাল ২৪শে অক্টোবর সন্ধ্যায় সাংবাদিক মোঃ ইউসুফ মিয়া জানান, গত ২০শে সেপ্টেম্বর রাতে তার পুত্র রাফি’র শরীরে জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে তাকে জ্বরের ওষুধ (প্যারাসিটামল সিরাপ) খাওয়ানো হয়। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর দেখা যায় রাফি’র বাম চোয়াল বেশ খানিকটা বাঁকা হয়ে গেছে। তখন তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ গোলাম ফারুকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি রাফি’কে দেখে ওষুধ লিখে দেন। ৩ দিন তার ওষুধ খাওয়ানোর পরও কোন উন্নতি না হওয়ায় ২৪শে সেপ্টেম্বর রাফি’কে রাজবাড়ী ডক্টরস কেয়ারের (পাবলিক হেলথ অফিসের পাশে) চেম্বারে নিয়ে আরেকজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোঃ মিজানুর রহমানকে দেখানো হয়। তিনি ৫ দিনের ওষুধ দেন। ৫ দিন ওই ওষুধ খাওয়ানোর পরও কোন উন্নতি না হওয়ায় ১লা অক্টোবর আবারও রাফি’কে ডাঃ মিজানুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ওষুধ পরিবর্তন করে দেন। সেই ওষুধ ৩ দিন খাওয়ানোর পরও কোন পরিবর্তন না হওয়ায় ৪ঠা অক্টোবর রাফি’কে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (শিশু) ডাঃ খন্দকার মোঃ আব্দুল্লা হিম সায়াদকে দেখানো হয়। তিনি বিভিন্ন ধরণের টেস্ট দেন। টেস্টগুলো করানোর পর তিনি ওই দিনই রাফি’কে ফরিদপুরের আরোগ্য সদন নামক একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া শুরু করেন। সেখানে কিছুটা উন্নতি হওয়ার পর তিনি ৭ই অক্টোবর রাফি’কে রিলিজ করে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। বাড়ীতে আনার একদিন পরই রাফি আবারো বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ে। খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। তখন মোবাইল ফোনে বিষয়টি ডাঃ সায়াদকে জানানোর পর তিনি পরামর্শ দেন, রাফি’কে আর এখানে আনার দরকার নেই। ওকে ঢাকার এনআইএনএসে (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল) নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ১৩ই অক্টোবর রাফি’কে সেখানে নেয়ার পর সেখানকার ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ বিজয় দেব হ্যাপী ওকে দেখে ওই হাসপাতালেরই পেডিয়াট্রিক নিউরোলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নাজমুল হকের কাছে রেফার করেন। তিনি ওকে দেখে এমআরআইসহ কিছু টেস্ট দেন। কিন্তু ওই কয়েক দিনে ১৭ কেজির থেকে কমে ১৩ কেজিতে নেমে যাওয়ায় এবং সিরিয়ালের সমস্যার কারণে সেখানে এমআরআইয়ের অপেক্ষায় না থেকে রাফি’কে এভার কেয়ার হাসপাতালে (অ্যাপোলো) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্যালাইন দিয়ে ১ দিন পর ১৫ই অক্টোবর রাফি’র এমআরআই করানো হয়। এরপর এমআরআই’র রিপোর্ট ওই হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ নরেন্দ্র কুমারকে (কনসালট্যান্ট এবং রেডিয়েশন ওনকোলজীর কো-অর্ডিনেটর) দেখানোর পর তিনি ওই হাসপাতালের নিউরো সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডাঃ অমিতাভ চন্দ্র, পেডিয়েট্রিক নিউরোলজী বিশেষজ্ঞ ডাঃ সারোয়ার জাহান ভুইয়া এবং অটোলারীনোলজী বিশেষজ্ঞ ডাঃ এ এফ এম একরামুদ্দৌলার সাথে পরামর্শক্রমে রাফি’র মাথার বাম পাশে কানের উপরে পানি জমে থাকা এবং ২টি টিউমার শনাক্ত করেন। এভার কেয়ার হাসপাতালের উল্লেখিত ডাক্তারদের সকলেই ভারতীয়। এরপর তারা এভার কেয়ার হাসপাতাল ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে ১০ দিনের প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব করে দিয়ে সুবিধামত হাসপাতালে ভর্তি রেখে সেগুলো প্রয়োগ ও খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ১৬ই অক্টোবর রাফি’কে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে ওষুধ প্রয়োগ ও খাওয়ানো শুরু হয়। ১০ দিনের কোর্স শেষ হওয়া আগামীকাল (আজ) ২৫শে অক্টোবর রাফি’কে আবারও এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
রাফি’র পিতা সাংবাদিক মোঃ ইউসুফ মিয়া আরো জানান, এভার কেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ প্রয়োগ ও খাওয়ানোর ফলে রাফি এখন কিছুটা সুস্থ। তবে মুখের একপাশের আংশিক বাঁকা এখনো রয়ে গেছে। এভার কেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ প্রাথমিকভাবে যে ধারণা দিয়েছেন সে অনুযায়ী রাফি’কে ভারতের ভেলোরের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে ব্যয়বহুল অপারেশন করাতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি সকলের দোয়া কামনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ