পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের (পিসিএনপি’র) চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মজিবর রহমান বলেছেন, পাহাড়ে এখন থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পাহাড়ে কোনরকম শান্তিতো দূরের কথা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনয়তা ভুগছে জনগন। তার কারণ যেখানে সন্ত্রাসীদের ধারা দেশরক্ষা বাহিনী নিহত ও গুম হচ্ছে সেখানে সাধারণ জনগন কতটুকু নিরাপদ সেটা সহজেই অনুধাবন করা যায়। তাই এর থেকে মুক্তির জন্য দ্রুত সন্ত্রাসীদের নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এছাড়াও জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য ব্যাপকহারে সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা প্রয়োজন। না হয় আত্মঘাতী সংঘাতের মুখোমুখি হতে আর বেশিদিন সময় লাগবেনা।
আজ সোমবার (২০ মার্চ ২০২৩) সকালে চট্রগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সেনা সদস্য শহীদ নাজিম উদ্দিন হত্যা ও নির্মাণ শ্রমিকদের উপর গুলিবর্ষণ এবং অপহরণ প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময়ই একটা কথা বলেছি পাহাড়ে শান্তি চাই। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। কোন সন্ত্রসীদের কারণে পাহাড়ের শান্তি বিলুপ্ত হতে দিবো না। তাই আমি সন্ত্রাসীদের অনুরোধ করবো আপনারা এ পথ ছেড়ে স্বাভাবিক পথে ফিরে আসুন না হয় এর পরিনাম ভয়ংকর হবে।
মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম বাতেন এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিসিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মোঃ আলমগীর কবির।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক, ছাত্রনেতা আল আমিন। বান্দরবান জেলা পিসিসিপির সভাপতি আসিফ ইকবাল, ওমর ফারুক, মহানগর সি. সহ-সভাপতি খোসাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, নুরুল ইসলাম, মুজিবুল্লাহ তুষার, এস এম কামাল ও জাকির সরকার সহ মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শতাধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত হয়ে মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার শহীদ নাজিম উদ্দীন হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৩ তারিখে বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলায় পাহাড়িদেরকে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে সেনাবাহিনীর টহল দলের উপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) গুলিবর্ষণ করে মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার শহীদ নাজিম উদ্দীনকে হত্যা করে।
এছাড়াও রুমা উপজেলায় সীমান্তে সড়ক নির্মাণ শ্রমিকদের উপর গুলিবর্ষণ এবং অপহরণ করা হয়।
এম/এস