বিগত সময়ে সামাজিক সাংস্কৃতিক, দারিদ্র্য বিমোচন ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় সরকারি-বেসরকারি একাধিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র পেয়েছেন খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন।
দারিদ্র্য বিমোচন, সমাজ সেবা ও সফল চেয়ারম্যান হিসেবে ২০২২ সালে তিনি হিউম্যান রাইটস কালচারাল ফাউন্ডেশন কর্তৃক “সোস্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাওয়ার্ড-২০২২”, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গবেষনা পরিষদ কর্তৃক “বঙ্গবন্ধু গবেষনা পরিষদ সম্মাননা এ্যাওয়ার্ড-২০২২”, বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সোসাইটি কর্তৃক “সম্মাননা স্মারক ২০২২”, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন সিন্দুকছড়ি জোন কর্তৃক ” United For Place” সম্মাননা এবং চলতি বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আদর্শ চর্চা পরিষদ কর্তৃক “বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সম্মাননা-২০২২” ও ১০ই জানুয়ারি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক “বিশেষ সম্মাননা” পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি ২০২১সালে খাগড়াছড়ি জেলায় শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবেও মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি যোগ্যাছোলার প্রয়াত চাইলাপ্রু মহাজনের ৩পুত্র ও ৩ কন্যার মধ্যে ২য় সন্তান। তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করে ২০০৭ সালে সার্জেন পদবী নিয়ে অবসর জীবনে আসেন। তিনি ১পুত্র ও ১কন্যা (গ্র্যাজুয়েট) সন্তানের গর্বিত পিতা। সম্প্রতি এসব সম্মাননা পাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ইউপি সচিব ও ইউপি সদস্যগণসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তিনি বলেন,”আমি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান শেষে ২০০৭ সালে সার্জেন পদবী নিয়ে অবসর গ্রহন করি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করি। এরপরই নিজেকে নিয়োজিত করি মানবতার সেবায়। সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ইউনিয়নব্যাপী সুষম বন্টন করা হয়েছে। হত-দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সহায়তাসহ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে খাদ্য সংকটে থাকা গৃহবন্দী মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। আমি আজীবন সমাজসেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। বঙ্গবন্ধুর আর্দশে উজ্জীবিত হয়ে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আদর্শে জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতির মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে আ’জীবন কাজ করে যেতে চাই”। তিনি আরও জানান, আমার একমাত্র পুত্র ও কন্যা দু’জনই গ্র্যাজুয়েট। আমার সন্তান ও নিজেরা সফলতার পিছনে আমার সহধর্মিণীর অবদান সবচেয়ে বেশি।
এম/এস