খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার ১নং ইউনিয়ন থানাচন্দ্র পাড়া নামক স্থানে ফুলে ভরা লিচু বাগান পুড়ে যায় প্রতিবেশী বাগাননের মালিকের দেওয়া আগুনে। ১০ই ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) দুপুরে কেপায়েত উল্ল্যাহ ন্যাশনাল এগ্রো নামে বাগানে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও আরেকটি বাগানের কর্মরত শ্রমিকদের সুত্রে জানা গেছে শুক্রবার দুপুরে পাশ্ববর্তী বনজ বাগান আগাছা পরিস্কার করার জন্য আগুন জ্বালালে সে আগুন লিচু বাগানে চলে আসে, এতে করে লিচু বাগানটির প্রায় ২৫/৩০টি ফুলন্ত গাছ আগুনে পুড়ে যায়, স্থানীয়রা আরো বলেন পাশে যদি কোন ফল বাগান থাকে তাহলে ঐ বাগান মালিকের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পানির ব্যাবস্থা করে তারপর আগুন দেওয়ার দরকার ছিলো, তবে বনজ বাগান মালিক কাউকে কিছু না বলে নিজের মনগড়া আগুন জ্বালিয়েছেন, লিচু বাগানটি পুড়ে যাওয়ার পর মালিক পক্ষ বলছে ওরা জানেন না কিছু, আগুনের জ্বালানি থেকে বুঝা যাচ্ছে এটা প্রতিহিংসামূলক জঘন্য কাজটি করা হয়েছে।
ন্যাশনাল এগ্রো বাগানের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ কেফায়েত উল্ল্যাহ জানান,যে বাগান থেকে আগুন এসে আমাদের বাগানের গাছ পুড়ে গেছে, সে বাগানের মালিক হচ্ছেন রামগড় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড এর মোহাম্মদ জলিল, কিছুদিন পুর্বে তিনি ভূমি দালাল লামকু পাড়ার মোহাম্মদ হাবিব এর মাধ্যমে বাগানটি বিক্রি করেন জৈনক এক ব্যাক্তির কাছে, জৈনক ব্যাক্তির কাছে বাগানটি বিক্রি করার পর ভূমি দালাল হাবীব এর মাধ্যমে ন্যাশনাল এগ্রো বাগানটি ওরা কিনবে বলে আমাদের কাছে প্রস্তাব আসে, আমরা বাগানটি বিক্রি করবোনা সোজা বলে দিয়েছি, তার পরেই এই ঘটনা, তারা তাদের বাগানের আগাছা পরিস্কার করবে এতে আমাদের কিছু যায় আসে না,তবে বাগানে আগুন দেওয়ার সময় আমাদের একটু অবগত করার দরকার ছিলো,যদি অবগত করত তাহলে আমাদের এত বড় ক্ষতি হতো না,তাদের প্রস্তাব এড়িয়ে যাওয়াতে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজটি করেছে, আমি একটি কথাই বলবো কোন সন্দেহ নেই ভূমি দালাল হাবিব যেহেতু জৈনক ব্যাক্তির নাম বলছে না,তাহলে এই বাগানের বর্তমান মালিক হাবিব নিজে,আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি তাই তার ষড়যন্ত্রে এই কাজ হয়েছে,এবিষয়ে আমরা রামগড় থানায় জলিল – হাবিব ও জৈনক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেছি।
আব্দুল জলিল জানান আগুনের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, আমি বাগানটি ভূমি ব্যাবসায়ী হাবীব এর মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছি কয়েক মাস আগে।
ভূমি ব্যাবসায়ী হাবীব জানান আব্দুল জলিল বাগানটি আমার মাধ্যমে সোনাইপুল জসীম উদ্দিনের কাছে বিক্রি করেছেন, আগুন লাগার বিষয়ে আমাকে দায় করে থানায় যে অভিযোগ দিয়েছে তা ন্যাশনাল এগ্রো “র মালিক কিছু না জেনেই করেছে।আর ন্যাশনাল এগ্রো নামে বাগানটি কেনা বেচার বিষয়ে কোন আলাপ আলোচনাই আমার সাথে হয়নি।
রামগড় থানা সুত্রে জানা গেছে লিচু বাগানে আগুন দেওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এম/এস