বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্সে বার্ষিক ফায়ারিং অনুশীলন কার্যক্রমে ১৪১টি টিয়ারশেল ফুটানো হয় ।
হাসপাতালে ভর্তিকৃতরা হলেন, খাগড়াপুর থেকে এনি ত্রিপুরা (২৯), সীমা রানী ত্রিপুরা (৪২), শালবাগান থেকে আবদুল বারেক (৬০)। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন জেবলী ত্রিপুরা (৩৫), বিকি ত্রিপুরা (২৫), শেফালী ত্রিপুরা (৩৫), শ্রাবন্তী ত্রিপুরা (১৫)।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। যারা শ্বাসকষ্টের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তারা সকলেই ঝুঁকি মুক্ত। তারা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের বার্ষিক ফায়ারিং অনুশীলন চলছে। অনুশীলনে টিয়ারশেলের গ্যাসে এমনটি হতে পারে। যারা অসুস্থ হয়েছেন তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছি। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি।
সদর থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ লাইন্সে পুলিশের ফায়ারিং অনুশীলনে টিয়ারশেল লিকেজ থেকে নির্গত গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের চোখ, মুখ জ্বালাপোড়া এবং বমি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পুলিশের দাবি, পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রের অনুশীলনে টিয়ারশেলসহ অন্যান্য অস্ত্রের নির্গত গ্যাসের কারণে এমনটা হতে পারে। তবে এ ঘটনায় কোন পুলিশ সদস্য অসুস্থ হয়নি ।
আতঙ্কিত এলাবাসীরা জানান, পূর্ব থেকে কোন ঘোষণা ছাড়াই খাগড়াপুর পুলিশ লাইনে টিয়ার গ্যাস ফায়ারিং করার কারণে আমাদের টিলাসহ চারপাশের ২-৩টি টিলার লোকজনের চোখে-মুখে জ্বালাপোড়া হওয়ার কারণে সবাই বাসা থেকে বেড়িয়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
জয় প্রকাশ ত্রিপুরা বলেন, রাত প্রায় সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের খাগড়াপুর, শালবাগানসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়দের চোখ ও নাক জ্বালাপোড়া, বমিসহসহ নানা অসুস্থতা দেখা দেয়। স্থানীয়রা ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে আসে।
এম/এস