• শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সাঙ্গু নদীতে নৌকায় ডুবে নারী নিখোঁজ এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি মোল্লাহাটে বিএনপির আহবায়ককে অব্যাহতি দেয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে এক ঘন্টার জন্য প্রতীকী পুলিশ সুপার হলেন শিশু শিক্ষার্থী নূর ইসরাত জাহান প্রবারণা পূর্ণিমাকে ঘিরে চলছে উৎসবের আমেজ লামায় ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে অসহায় জায়গার মালিকের যত অভিযোগ বান্দরবানে এবারো এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কোয়ান্টাম কসমো কলেজ প্রথম কাপ্তাই মা সীতা দেবী মন্দিরে হাতির আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্ত রান্না ঘর ও বাগান নবীনগর নিখোঁজ গৃহবধূর সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন! সাজেকে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি ও বাঙ্গালী পরিবারের মাঝে সেনাবাহিনীর আর্থিক সহায়তা প্রদান মানিকছড়িতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম হাতে-কলমে অক্ষর শিখছে শিশুরা প্রবারণা উৎসবে মানিকছড়িতে অনুদান বিতরণ গুইমারা কলেজের সাফল্য মায়ের ইচ্ছে স্বপ্নপূরণে চিকিৎসক হতে চায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আশরাফুল

গোয়ালন্দে সরকারি খাল হতে বালু উত্তোলন ঘরবাড়ি-ফসলী জমি ধ্বসে যাওয়ার আশংকা

সাইফুর রহমান পারভেজ,গোয়ালন্দ প্রতিনিধিঃ / ১৫১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের জৈনদ্দিন সরদার পাড়া এলাকায় প্রবাহমান সরকারি খাল হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে করে খালপাড়ের বসতবাড়ী, ভিটেমাটি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও প্রাইমারি স্কুল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অবিলম্বে ড্রেজার মেশিন বন্ধ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. ইসমাইল খা। তিনি স্থানীয় রোকন উদ্দিন খানের ছেলে। উত্তোলিত বালু তিনি অন্যত্র বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগসাজশে বেশ কিছুদিন ধরেই এভাবে বালু তুলছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা তাকে বাঁধা দিতে গেলে তিনি নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, একটি বড় ড্রেজার মেশিন দিয়ে সেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে। এতে আশপাশের পাড় ভেঙে পড়ছে। এ সময় ড্রেজার মেশিন বন্ধের দাবিতে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
আলাপকালে মো. হাসেম মন্ডল, রফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মো. শহিদসহ কয়েকজন বলেন, শুকনো মৌসুমে এই খালের জমিতে তারা বোরো ধান, সরিষাসহ নানা ধরনের কৃষি ফসলের আবাদ করে থাকেন। কিন্তু ৩০/৪০ ফুট গভীর করে বালু তোলার ফলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের বসতভিটা, বাড়িঘর ও ফসলী জমি ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
আনোয়ারা বেগম, আকলিমা খাতুন, সাহেরা খাতুন সহ কয়েকজন মহিলা বলেন, শুকনো মৌসুমে এই খালে পানি থাকে না। এখন বাড়ির পাশে এত গভীর করে বালু তোলা হলে তাদের শিশু বাচ্চাদের এই গভীর পানিতে পড়ে প্রানহানির আশংকা রয়েছে।
অভিযুক্ত ইসমাইল খা মুঠোফোনে দাবি করে বলেন, তিনি সরকারী খাল থেকে বালু উত্তোলন করছেন না। পাশেই তার নিজের জমি রয়েছে। সেখান হতে বালু তুলছেন। এতে কারো কোন সমস্যা হচ্ছে না।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দিয়েছি। গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ৮/১০ দিন আগেও একবার ওই ড্রেজারটি বন্ধ করে দিয়ে আসি। তাদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হওয়ার দরকার। তারপরও আমি বিষয়টি দেখছি।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ