• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ফরিদপুর রেলস্টেশনে ঢাকামুখী কমিউটার ট্রেনের গতিরোধ পাহাড়খেকো আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ’কে ঠেকাবে কে ? কাপ্তাই সেনা জোনের উদ্যোগে চালু হল ”মানবতার দেওয়াল” কালবৈশাখীর ছোবলে মানিকছড়িতে ঘর-বাড়ি ভেঙে চুরমার বিদ্যুৎ লাইন বির্পযয় রামগড়ে বজ্রপাতে গংজ মার্মার মৃত্যু কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব স্টেশনের সুইচ ইয়ার্ডে অগ্নিকান্ড উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া জেএসএস (সন্তু) খাগড়াছড়িতে নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় মা‌টিরাঙ্গায় সাংবাদিক হাসান আল মামুনের বিরু‌দ্ধে মানববন্ধন মোংলায় নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত নওগাঁয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প বেলকুচি উপজেলা নির্বাচনে উড়োজাহাজ প্রতিকে আবারও ভোট চান সফল ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী সেখ

কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শহীদ কুঞ্জে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা / ২৫৫ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে বান্দরবানের লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী শহীদ কুঞ্জে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রথম প্রহরে কোভিড সচেতনতার বিষয়টি মাথায় রেখে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের আয়োজনটি গত বছরের মতো এবারও পালিত হয়েছে সীমিত পরিসরে।

প্রভাতফেরি, শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, এরপর শিক্ষার্থীদের নিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিষয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের হাই স্কুল ক্যাম্পাসে সকাল সাড়ে ৯টায় ভাষা শহীদ ও বিশ্বের প্রতিটি মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শুধু বাংলা ভাষা নয় চাকমা, মারমা, ম্রো, সাঁওতাল, গারোসহ বিশ্বের সকল জাতিগোষ্ঠীর ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছ এই অনুষ্ঠানে।

কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ২০০৮ সাল থেকে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে একটু ভিন্নভাবে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রয়েছে মাতৃভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের জন্যে বিশেষ একটি স্থান ‘শহীদ কুঞ্জ’।

বৃক্ষঘেরা ‘শহীদ কুঞ্জ’ সম্পর্কে জানতে চাইলে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ইনচার্জ সালেহ আহমেদ বলেন, ‘শহীদরা অমর। তাদের দৈহিক মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু তাঁরা আগামী প্রজন্মের হৃদয়ে বেঁচে থাকে ত্যাগের উদাহরণ হিসেবে। তাই ইট-সিমেন্ট-পাথরের কোনো অবকাঠামো না বানিয়ে, আমরা শহীদদের স্মরণে গাছ লাগিয়েছি। আমাদের এই চত্বরে ১২টি শিমুল গাছ আছে। প্রথম ৫টি ৫ জন ভাষা শহীদদের স্মরণে আর বাকি ৭টি মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠদের স্মরণে লাগানো হয়েছে। এগুলো চারা থেকে এখন বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। এই গাছগুলো থেকে মানুষ, পশুপাখি ও প্রকৃতি যত উপকৃত হবে তা এই শহীদদের জন্যে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে সংযোজিত হতে থাকবে। আর গাছের যত্ন একদিন নিলে হয়, না, প্রতিদিন নিতে হয়। তাই শুধু একটি দিন নয়, আমরা তাদের ৩৬৫ দিন স্মরণ করি গাছগুলো পরিচর্যার মাধ্যমে। দেশের জন্যে শহীদদের অবদান যেহেতু সবচেয়ে বেশি, তাই তাদের সর্বোত্তম সেবা ও সম্মান দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস আমাদের এই ‘শহীদ কুঞ্জ’।’

আজ থেকে ৭০ বছর আগে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন বাংলার অকুতোভয় সন্তানেরা। মায়ের ভাষার জন্যে ত্যাগের এই ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে এই দিনটি সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ