স্থানীয় জনগণের হাতে লিফলেট তুলে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সহাবস্থান ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সিএইচটি সম্প্রীতি জোট’র পক্ষ থেকে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর ২৫) সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বাইশারী ইউনিয়নে নতুন শাক পাড়া, নারিসবুনিয়া মগ পাড়াসহ সম্প্রীতির ভিক্ষা চেয়ে দুয়ারে দুয়ারে। এটি চলবে মাস ব্যাপী তিন পার্বত্য জেলায়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি, সম্প্রীতি, নিরাপত্তা, সহাবস্থান ও দুর্নীতিমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সিএইচটি সম্প্রীতি জোট আজ ১৪ ডিসেম্বর সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের নতুন শাক পাড়া, মগ পাড়া ও জনতার মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পরিচালনা করেছে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সম্প্রীতি জোটের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং শাক, মুখপাত্র পাইশিখই মারমা, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য, শাহীন আলম, মং থোয়াই ওয়াং মারমা, উক্য সিং মারমা, সংগঠক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সিএইচটি সম্প্রীতি জোট, পাইমং থুই মারমা প্রেম সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি, চট্টগ্রাম মহানগরের সংগঠক অং সি হ্লা মারমা এবং সংগঠনের অন্যান্য পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। তাঁরা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শিক্ষার্থী ও উপস্থিত জন সাধারণের মাঝে লিফলেট তুলে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সহাবস্থান, বৈষম্যমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
লিফলেটে পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ভূমি সমস্যার ন্যায়সংগত সমাধান, চাঁদাবাজি ও সহিংসতা বন্ধ, বৈষম্যহীন সহাবস্থান এবং সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করার দাবিসহ দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা যুক্ত করা হয়েছে।
ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাক বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধে একত্রিত হতে হবে। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে বিভেদ, সহিংসতা ও উসকানিমূলক রাজনীতি থেকে দূরে রেখে উন্নয়ন ও নিরাপত্তার পথে এগিয়ে যেতে হবে।”
এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন যে, আগামী এক মাস ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি-এই তিন জেলায় ধারাবাহিকভাবে লিফলেট বিতরণ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।
দিনব্যাপী লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া দেখা যায় এবং তারা শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে স্বাগত জানান।